কলকাতা: আগামী ১ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে 'দুয়ারে সরকার' শিবির। সেখানে ক্যাম্পে থাকবেন সরকারি কর্মী ও অফিসারেরা। সূত্রের খবর, কলকাতায় এই শিবির চালাতে পুরসভার ৭৪২ জন কর্মী-অফিসারের নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। জানা গিয়েছে, এই তালিকায় নাম থাকা ৩৩০ জনই শিক্ষক-শিক্ষিকা।
কলকাতা পুরসভার স্পেশাল কমিশনারের নির্দেশে পার্সোনেল বিভাগ থেকে সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেই জানানো হয়েছে, কোন কোন কর্মী অফিসার দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে যোগ দেবেন।
দেখা গিয়েছে, তালিকায় থাকা ৩৩০ জনের নামই কোনও না কোনও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকার। আর এই সংখ্যাটা কলকাতা পুরসভার সমস্ত স্কুল মিলে মোট শিক্ষক পদের ৫০ শতাংশেরও বেশি। কলকাতা পুরসভার শিক্ষা বিভাগের হিসেব অনুযায়ী, বর্তমানে পুরসভার স্কুলগুলিতে স্থায়ী পদে শিক্ষক রয়েছেন ৬০৫ জন। অস্থায়ী শিক্ষক ১৩০ জন এবং প্যারা টিচার ৭৮ জন।
আরও পড়ুন: ইডি-র নজরে এবার সিউড়ি থানার ওসি! গরু-মামলা নাকি অনুব্রত-ঘনিষ্ঠতা, কারণ কী? তুঙ্গে জল্পনা
কলকাতা পুরসভার স্কুল বিভাগ থেকে মোট ৩৩০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা 'দুয়ারে সরকার' শিবিরে চলে গেলে পুর-স্কুল কীভাবে চলবে? প্রশ্ন উঠছে পুরসভার অন্দরেই। যদিও এতে কোনও সমস্যা হবে না বলেই আশ্বাস দিয়েছেন পুরসভার শিক্ষাবিভাগের মেয়র পারিষদ সন্দীপন সাহা। তিনি বলেন, "মাত্র ২০ দিনের ব্যাপার। এটা নিয়ে খুব একটা সমস্যা হবে না। 'দুয়ারে সরকার' রাজ্য সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। জরুরি নাগরিক পরিষেবারই অংশ। এই প্রকল্পকে তো অগ্রাধিকার দিতেই হবে।"
মেয়র পরিষদ শিক্ষা আরও জানান, যে সব স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা কম, সেখানকার শিক্ষকদেরই মূলত পাঠানো হচ্ছে। মোটামুটি স্কুল শিক্ষক ছাত্র অনুপাত দেখে 'অ্যাডজাস্ট' করেই শিক্ষকদের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে। কলকাতা পুরসভার আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, শুধু শিক্ষক কেন, বিভিন্ন দফতর থেকেই তো সমীক্ষা করেই কর্মী অধিকারীকদের পাঠানো হয়েছে। তবে পুরসভার অন্দরে এই প্রশ্ন উঠছে, এর আগেও এই শিবিরে শিক্ষকদের নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই সংখ্যা কখনওই এতটা ছিল না।
কলকাতা পুরসভায় বিভিন্ন ধরনের স্কুল টিচার রয়েছেন প্রধান শিক্ষক সহ-শিক্ষক ,স্থায়ী, অস্থায়ী ও প্যারা টিচার। সব মিলিয়ে রয়েছেন আটশো’র কিছু বেশি শিক্ষক-শিক্ষিকা। "দুয়ারে সরকার' শিবির চললে তাঁদের মধ্যে থেকে তুলে নেওয়া হয় তিনশো'র বেশি শিক্ষককে। স্বাভাবিকভাবেই, অভিভাবকদের একাংশ মনে করছেন, এমনটা হলে শিক্ষকের অভাবে কার্যত শিকেয় উঠবে স্কুলের পঠনপাঠন।
সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের পরিকাঠামোর মাঝে পুরসভার স্কুলগুলিতে পঠনপাঠনের মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তার মধ্যে এত কম সংখ্যক শিক্ষক দিয়ে প্রায় একমাস স্কুল চালানো কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করছেন পুরসভার আধিকারিকদের একাংশ।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Duare sarkar camp