আরও পড়ুন-ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে উড়ে গেলেন ব্যক্তি নিজেই! ভিডিও নিমেষে ভাইরাল
পুরো এলাকাটাই গাছ গাছালিতে ঢাকা। সেইসব গাছেই অবাধ বিচরণ নানা নাম জানা, না জানা পাখির ৷ পাখিদের কলরবেই কেটে যাবে অনেকটা সময়। আর এতটাই শান্ত, নিঝুম যে কান পাতলেই শোনা যায় দূরের পালা নদীর গর্জন। পাখিদের কলকাকলিতেই এখানে ঘুম ভাঙবে পর্যটকদের। তারপর সানরাইজ বা কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে হলে যেতে হবে কিছুটা দূরের পানবু ভিউ পয়েন্টে। নয়তো মুনথুমের ওপরের এক পাহাড়ের ভিউ পয়েন্টে। ফিরে এসে ব্রেকফাস্ট সেরে সোজা পাহাড়ি নদীতে। যার নাম পালা। সেখানে অনায়াসেই কেটে যাবে এক বেলা। নদীর ধারেই পৌঁছে যাবে লাঞ্চ। অনেকটা পিকনিক পিকনিক মুড (Munthum Village Homestay) ৷
advertisement
অদূরেই পাহাড়ি ঝর্না ডাকছে। চলার পথে হঠাৎ দেখা হয়ে যেতে পারে হিরিণ, ময়ূরের সঙ্গেও। দিনভর নদী আর পাহাড়ী ঝর্নায় কাটিয়ে ফের কটেজে ফিরে এসে চা আর স্ন্যাক্স! সন্ধ্যায় স্থানীয় গোর্খা সংস্কৃতির সঙ্গে নাচ, গানে মেতে ওঠা। গিটার হাতে সুর তুলবে স্থানীয় শিল্পীরাই। অথবা বন ফায়ার বা বারবিকিউতে! সন্ধ্যের পর অদূরের কালিম্পং পাহাড়ের আলো যেন জোনাকি! সঙ্গে ঝি ঝি পোকার ডাক। পরদিন ইচ্ছে হলে পর্যটকেরা হাইকিংয়ের জন্যে যেতে পারেন পাশের পাহাড়ে। আবার ঘুরতে যেতেই পারেন লাভা, লোলেগাঁও বা ডেলোতে। বাঙালি খাবার তো থাকছেই, ইচ্ছে হলে পেতে পারেনি গোর্খা মেনুও। সে গুণ্ড্রুক, গোর্খা আচার, শেকওয়া হতে পারে। এজন্যে বাড়তি খরচ বহন করতে হবে না। মাথাপিছু খরচ ১৫০০ টাকা।
আরও পড়ুন-মানুষের মাংস খেলে নাকি সারবে মাথার রোগ ! আমেরিকায় গ্রেফতার ‘নরখাদক’
কীভাবে যাবেন- এনজেপি বা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে সড়ক পথে ২৯ মাইল দিয়ে সোজা মুনথুম। অথবা ঘুরপথে কালিম্পং হয়েও পৌঁছনো যাবে।
পার্থ প্রতিম সরকার