মূলত অ্যাডভেঞ্চার পর্যটনকে দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতেই উদ্যোগী তাঁরা। তারই অঙ্গ হিসেবে আজ ইন্টারন্যাশনাল মেগা সাইক্লিংয়ের আয়োজন করে জিটিএর পর্যটন দফতর। এই আসরে স্থানীয়রা তো বটেই, অংশ নেয় নেপাল এবং ভুটানের সাইক্লিস্টরাও।
সমতলের কাছেই পাহাড়ী গ্রাম গরুবাথান থেকে লাভা পর্যন্ত ৪১ কিলোমিটার সাইক্লিংয়ের আয়োজন করা হয়। এই আসরে অংশ নেয় ৬০ জন সাইক্লিস্ট। সময় লাগে ২ ঘন্টা ৫ মিনিট। গরুবাথানে ফ্ল্যাগ অফ করে যার সূচনা করেন জিটিএর চিফ এগজিকিউটিভ অনীত থাপা। তিনি জানান, পর্যটকদের এই ধরনের অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমে আকৃষ্ট করতেই এর আয়োজন। আগামী দিনে দার্জিলিং, কার্শিয়াং এবং মিরিকেও অ্যাডভেঞ্চার পর্যটনের আয়োজন করা হবে। যাতে বছরভর পাহাড়মুখী হয় পর্যটকেরা। এতে পাহাড়ের অর্থনীতিও আরও চাঙ্গা হবে।
advertisement
আরও পড়ুন : আপনার হাতের চা খেয়ে মন ভরছে না কারোর? এই টিপসগুলি মানলেই পাবেন বাহবা
পাশাপাশি স্পোর্টস ট্যুরিজমেরও আয়োজন করা হবে। অংশগ্রহনকারী বিদেশী সাইক্লিস্টরাও পাহাড়ের আপ্যায়ন, আতিথেয়তায় মুগ্ধ। এখানকার পরিবেশের প্রেমে পড়েছেন তাঁরা। এদিন মূলত তিন বিভাগে সাইক্লিংয়ের আয়োজন করা হয়। পুরুষ বিভাগে প্রথম তিনটে খেতাবই জেতে নেপালের সাইক্লিস্টরা। মহিলা বিভাগেও নেপাল সেরা। ভেটেরেন্স বিভাগেও নেপালই খেতাব জিতেছে। প্রাইজমানি ছিল দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা। প্রতি বছরই এমন আয়োজন হবে বলে জিইটিএ সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন : শীতের পিকনিক! বাড়ির বারান্দাতেই সবাই মিলে বানিয়ে ফেলুন Barbecue চিকেন
সাইক্লিস্ট লক্ষিন মল্লা জানান, "ভারতীয়দের আতিথেয়তা ভালো লেগেছে। অনেকটাই উঁচু পথ ছিল। জিটিএর এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেছে পর্যটন ব্যবসায়ীরাও।" এক পর্যটন ব্যবসায়ী জানান, "অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমকে জিটিএ তুলে ধরলে বছরভর পাহাড়ে বেড়াতে আসা পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে। এই শিল্পের সঙ্গের জড়িতদের আর্থিক স্বচ্ছলতা বাড়বে।"