মানুষের সুবিধার্থে দিনের পর দিন হচ্ছে নগর উন্নয়ন কাঁটা পড়ছে হাজার হাজার গাছ। গন্তব্যের দ্রুত পৌঁছতে তৈরি হচ্ছে ফোর লেনের রাস্তা আর এতেই দিনের পর দিন ব্যতিব্যস্ত মানুষের জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে সেই সবুজে ঘেরা প্রকৃতি। আধুনিকতার জীবনকে আরো আধুনিক করে তুলতে বর্তমানে প্রকৃতিকে ভুলতে বসেছে মানুষ সেই অর্থেই গাছের সাথে সাথে কারোর ঘরও ভেঙে যাচ্ছে সেই কথা হয়তো কারোর মাথায় আসেনা। তবে সেই যুবকদের মাথায় এসেছে এই অভিনব চিন্তা ভাবনা।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
আসলে যেই রংবেরঙের হাঁড়িগুলি নিয়ে তারা ঘুরছিল সেগুলি হল পাখিদের ঘর। সুন্দর সুন্দর রং করে মাটির হাঁড়িগুলিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তার মধ্যে রাখা হয়েছে ছোট্ট একটি দরজা। গ্রীষ্মের দাবদাহে মানুষ যখন হিমশিম খেয়ে একটু আশ্রয় খোঁজে তেমনি খোলা আকাশে উড়তে উড়তে পাখিরা যখন ক্লান্ত হবে তখন তারা এসে বসবে এই ঘর গুলিতে। শিলিগুড়ির বিভিন্ন জায়গায় এই পাখির ঘর ঝোলানো হচ্ছে।
এই বিষয়ে যুবকেরা জানান , আজ পরিবেশ বিপন্ন। গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বাড়ছে হুহু করে, পাখিরা আশ্রয়ের খোঁজে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করছে। সেই দিক বিবেচনা করে পাখিদের পাখিদের বাঁচিয়ে রাখতে এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে এই অভিনব পরিকল্পনা। পাখিদের বিশ্রামের জন্য তারা পাখির বাসা লাগানো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামীতেও আরো অন্যান্য জায়গায় এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তারা।
শহরের রাস্তায় রাস্তায় যুব প্রজন্মের উদ্যোগে পাখিদের এই ঘর তৈরি দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ শহরবাসী। প্রকৃতি যেভাবে ধ্বংস হচ্ছে তার মাঝে যুবক প্রজন্মের মাথায় এই চিন্তা ভাবনা আগামীদিনে মানুষের কাছে অনেক বার্তা পৌঁছে দেবে। এবার থেকে শহরের বুকে রংবেরঙের এই পাখিদের ঘরে বাসা বাঁধবে হরেক রকমের পাখি।
সুজয় ঘোষ