এ বিষয়ে মন্দিরের প্রধান পুরোহিত অরুপ চক্রবর্তী বললেন, “ভক্তরা চাইছিলেন সারাবছর মায়ের দর্শন। আজ সেই চাওয়া আজ পরিপূর্ণ হল। মা এখন সর্বক্ষণ বিরাজ করবেন রুপোর মুখমণ্ডলে।”
এদিন সকাল থেকে বালুরঘাটের বোল্লা গ্রামে উপচে পড়ল ভক্তের ঢল। কেউ ফুল হাতে, কেউ দ্বীপ হাতে, কেউ চোখের জল মুছতে মুছতে এসে দাঁড়িয়েছে মায়ের সামনে। ঢাকের তালে তালে নেচে উঠেছে শিশু থেকে বৃদ্ধ। বোল্লার আকাশে বাতাসে যেন ধ্বনিত হয়েছে একটাই শব্দ “জয় মা বোল্লা”। এদিন মায়ের মুখাবয়বের সামনে প্রণামে নতজানু হলেন হাজার হাজার ভক্ত। ঢাকের বাদ্যি, শঙ্খের ধ্বনি আর উলুধ্বনির মাঝখানে উৎসবের আবহ যেন ভরে উঠেছিল মন্দির চত্বর।
advertisement
বাৎসরিক নিয়ম অনুযায়ী পুজোর তিনদিন পর দেবীর মূর্তি নিরঞ্জন হয়। সেক্ষেত্রে সারাবছর মায়ের দর্শন সম্ভব হত না। সেই আক্ষেপেই জন্ম নিল রুপোর মুখাবয়ব। যা আজ থেকে ভক্তির স্থায়ী প্রদীপ হয়ে রইল বোল্লার বুকে। পুজো কমিটির দাবি, এদিন ৫৬ রকমের মিষ্টান্ন নিবেদন করা হয়েছে বোল্লা মায়ের ভোগে। বিশেষ যজ্ঞের আয়োজনও হয়েছে মন্দির প্রাঙ্গণে। লক্ষ লক্ষ ভক্তের ভরসা আর মায়ের আশীর্বাদেই আজকের দিনটি সম্ভব হয়েছে।
সুস্মিতা গোস্বামী