দূর্গা পুজো, বাঙালির পয়লা বৈশাখ সহ নানা অনুষ্ঠানে পাহাড়ের কোলের এই বাড়িতে যাতায়াত ছিল পরিবারের সদস্যদের। ১৯৩৬ সালে এই বাড়িতেই টানা ৬ মাস ব্রিটিশরা গৃহবন্দী করে রেখেছিলেন নেতাজীকে। সেটা ১৯৩৬-এর জুন থেকে ডিসেম্বর। ওই সময়েই নেতাজী পাহাড়ের এই সাদা বাড়িতে বসেই চিঠি লিখেছিলেন জওহরলাল নেহরু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে।
advertisement
পরবর্তী সময়ের ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে তাঁর ভাষণেরও স্ক্রিপ্ট লিখেছিলেন এই ঘরে বসেই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও নেতাজীকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন এই বাড়ির ঠিকানাতেই। ১৯৯৬ সালে এই ভবনটি রাজ্য সরকার অধিগ্রহণ করে। এখন যার পরিচিতি "নেতাজী মিউজিয়ম" নামে।
আরও পড়ুন - Viral News: একই বলে দুই প্রান্তের ব্যাটসম্যানই রানআউট, সত্যি হল দেখুন Viral Video
আজ নেতাজীর ১২৫তম জন্মদিবসেও (Netaji Subhash Chandra Bose Birth Anniversary) মনে করাচ্ছে সেইসব স্মৃতি। মিউজিয়মের ইনচার্জ গণেশ প্রধান সেইসব স্মৃতিই আজ সকালে ফের একবার মনে করালেন। দেশ স্বাধীনের অনেক ইতিহাসের সাক্ষী এই বাড়িটি। রাজ্যের উদ্যোগে ভবনটির সৌন্দার্যায়ন করা হয়। কুয়াশাঘেরা সকালে গিদ্দা পাহাড়ে আজ নেতাজীর আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান কার্শিয়ংয়ের মহকুমা শাসক ইজাজ আহমেদ। ছিলেন অন্য বিশিষ্টজনেরাও। এই মিউজিয়মেই মিলবে নেতাজীর লেখা নানান চিঠির প্রতিলিপি, কিংবা বিশ্বকবির নেতাজীকে লেখা চিঠি।
আরও পড়ুন - U 19 World Cup 2022: অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত বনাম পাকিস্তান! কীভাবে সম্ভব এই টক্কর
আজ পর্যটকদের কাছেও জনপ্রিয় ডেস্টিনেশন গিদ্দা পাহাড়ের এই সাদা বাড়িটি। রয়েছে নেতাজীর স্মৃতিমাখা আরো অনেক কিছু। সবই ঠাঁই পেয়েছে পাহাড়ের এই নেতাজী সংগ্রহশালায়। দেশ স্বাধীনের আগে শিলিগুড়ি টাউন স্টেশনেই নামতেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু (Subhash Chandra Bose)। তারপর পৌঁছতেন গিদ্দা পাহাড়ে। আজ সবই স্মৃতি। সেইসব স্মৃতিই আঁকড়ে ধরে বসে আছে গিদ্দা পাহাড়!অন্যদিকে এদিন দার্জিলিংয়ের ক্লাব সাইড রোডে নেতাজীর আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করেন জেলাশাসক এস পুন্নমবলম। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।
Partha Sarkar