উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনে চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় জানিয়েছেন, “দিনের দিন ঘুরে আসা থেকে শুরু করে দু’দিন এক রাত কিংবা সর্বোচ্চ তিন দিন দু’ রাতের প্যাকেজ সাজানো হচ্ছে। অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইন বুকিং-ও থাকবে। পর্যটকদের টানতে স্টেশন-বাজারে মাইকিং, লিফলেট বিলি আর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হবে।” প্রাথমিকভাবে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার থেকে এই প্যাকেজ চালানো হবে। থাকবে ১৬ সিটের ও ২৬ সিটের বিশেষ বাস। চাহিদা বাড়লে বাসের সংখ্যাও বাড়ানো হবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ এ বছর কী থিম কল্যাণী আইটিআই মোড় লুমিনাস ক্লাবের? কতটা এগোল মণ্ডপ তৈরির কাজ? দেখুন ছবিতে
প্যাকেজে থাকছে পাহাড় ও ডুয়ার্সের সেরা গন্তব্যগুলি—গ্যাংটক, দার্জিলিং, কালিম্পং, লাভা, লোলেগাঁও, ঝালং, বিন্দু, লাটাগুড়ি, মূর্তি, গোরুমারা, জলদাপাড়া, রাজাভাতখাওয়া, জয়ন্তী-সহ একাধিক জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। কম খরচে বেশি জায়গা দেখানোই মূল লক্ষ্য। শুধু তাই নয়, এবারের প্যাকেজে থাকছে পুজো পরিক্রমার বিশেষ আয়োজনও। মহালয়ার পরদিন থেকে চতুর্থী পর্যন্ত বিশেষত প্রবীণদের জন্য ঠাকুর দেখার ব্যবস্থা করবে এনবিএসটিসি। এই উদ্যোগে খুশি পর্যটন ব্যবসায়ীরাও।
বর্তমানে বিহার থেকেও বহু পর্যটক ডুয়ার্সে আসছেন। কিন্তু সরাসরি সরকারি বাস পরিষেবা নেই। পর্যটন ব্যবসায়ীদের দাবি, এনবিএসটিসি যদি এ দিকেও নজর দেয়, তবে ডুয়ার্সের পর্যটনে নতুন জোয়ার আসবে। পুজোর আগে এনবিএসটিসি’র এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন সম্ভাবনার দোর খুলে দিচ্ছে!





