আরও পড়ুন: ডলফিন মিষ্টিতে মাত বীরভূম, ভাইফোঁটায় নতুন চমক
ভাইফোঁটার দুপুরে কব্জি ডুবিয়ে পাঁঠার মাংস, ইলিশ পাতুরি বা চিকেন বিরিয়ানি হয় ঘরে ঘরে। সঙ্গে খাঁটি ভেটকির ফিস ফ্রাই, পমফ্রেট ফ্রাই এগুলো তো আছেই। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। তবে তা করতে গিয়ে বোনেদের ট্যাঁকে রীতিমতো ছেঁকা লাগার জোগাড়। চাহিদা বাড়তেই তরতর করে বেড়েছে বাজার দর। বুধবার সকালে জলপাইগুড়ি শহরের বিখ্যাত বাজারগুলোর মধ্যে দিন বাজারের ইলিশ মাছের চাহিদা ছিল তুঙ্গে। বাংলাদেশের ইলিশ এখানে কেজি প্রতি ২০০০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হয়েছে। মায়ানমারের ইলিশের দাম ছিল ১৪০০ টাকা প্রতি কিলো। খাসির মাংসের দাম উঠে প্রতি কেজি ৯০০ টাকা হয়ে যায়। তবে মুরগির মাংস সেই তুলনায় অনেকটাই সস্তা ছিল, ১৬০ টাকা কিলো দরে অনেকেই কিনে নিয়ে গিয়েছেন মুরগির মাংস।
advertisement
তবে এই চড়া দরেও বাজার করতে পিছপা হয়নি মানুষজন। বেশি টাকা দিয়েই চিতল থেকে চিংড়ি, পাবদা সব দামি মাছ দেদার কেনা হয়েছে। এই চরা দড় প্রসঙ্গে বিক্রেতাদের বক্তব্য, ভাইফোঁটা বিশেষ দিন তাই বিক্রি খানিক বেড়েছে। দাম বাড়লেও ক্রেতারা কেনাকাটা ভালই করেছেন। অনেকেই অবশ্য এই দামের ধাক্কা সামলাতে না পেরে দুধের স্বাদ ঘোলে মিটিয়েছেন। তাই বাংলাদেশের ইলিশ ছেড়ে ঝুঁকেছেন ডায়মন্ডহারবারের ইলিশের দিকে। আবার অনেকে খাসির দাম সামলাতে না পেরে মুরগির মাংস কিনে নিয়েই বাড়ি ফিরেছেন।
সুরজিৎ দে