শ্রী রামের ছবি আঁকা বড় বড় পতাকা নিয়ে চলছে মিছিল। পা মিলিয়েছেন আট থেকে আশি সব বয়সীরাই। শহরের প্রধান রাস্তাজুড়ে মিছিলের সমারোহ! বাজছে ডিজে! শ্রী রামের গান! গানের তালে নাচে কোমর দোলাচ্ছেন সকলেই। সঙ্গে আবার একাধিক জায়গায় চলল লাঠি খেলা।
আরও পড়ুন- শিলিগুড়িতে মাঝরাতে তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলরের বাড়িতে হামলা, হুমকির অভিযোগ
advertisement
মুহুর্মুহু উঠছে স্লোগান "জয় শ্রী রাম"! আবার কখোনো বা " একই নাড়া একই নাম, জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীরাম!" বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মিছিল মিশছে সফদর হাসমি চকে। তারপর হিলকার্ট রোড, বর্ধমান রোড ধরে স্টেশন ফিডার রোডের হিন্দি স্কুল। সেখানেই মিছিলের শেষ।
কয়েক কিলোমিটার পথ ধরে এই মিছিল। মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্তি তাড়া করে বেড়াচ্ছে ভক্তদের। চৈত্রের শেষে আজ রোদের তাপ তেমন ছিল না ঠিকই। বৃষ্টিও হল কিছুক্ষণ। তবে থামেনি মিছিল। সময় বাড়ছে, বেড়েছে মিছিলের লম্বা লাইন। শুরু আর শেষ মাথা যেখানে মেলানো অত্যন্ত কঠিন!
এই মিছিলের ভক্তদের ক্লান্তি দূর করতে এগিয়ে এলেন শিলিগুড়ির বহু মুসলিম ভাইয়েরা। শেওয়ানাজ হুসেন, শেওয়াজ হুসেনরা আজ সকাল থেকেই হাজির হাসমি চকে। হাতে তাদের পানীয় জলের বোতল। মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের হাতে তুলে দিলেন ঠাণ্ডা পানীয় জলের বোতল।
আরও পড়ুন- শিশুকে পোলিও খাওয়াতে আনলেন 'মা', সন্দেহ হতেই জানা গেল চাঞ্চল্যকর তথ্য
এক অন্য দৃশ্য যেন! সৌহার্দ্য, সম্প্রীতির মেলবন্ধনের দৃশ্য। এমনই ছবির নজির হয়ে রইল শহর শিলিগুড়ি। কিন্তু কেন এই উদ্যোগ? অন্যতম উদ্যোক্তা শেওয়াজ হুসেন জানান, আমাদের দেশে কোনো ধর্মীয় মতবিরোধ যে নেই, তা তুলে ধরতেই এই আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আমরা যে একে অপরের ভাই, সেই বার্তা তুলে ধরতে চাই। পাশাপাশি একে অপরের উৎসবকে উপভোগ করার লক্ষ্য নিয়ে এগোনো। যা আজকের এই রামনবনীর মিছিলে অন্য মাত্রা যোগ করেছে।