জানা যায়, এই দিদিমণি ফাঁসি দেওয়ার বিধান নগর থেকে প্রতিদিনই স্কুলে আসেন নিজে বুলেট গাড়ি চালিয়ে। যদিও এই দিদিমনির পোশাকি নাম সুবর্ণা মজুমদার হলেও তিনি কিন্তু ফেসবুকে মাউন্টেন গার্ল হিসেবেই পরিচিত। জানা যায়, এই দিদিমণি ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের রিলস প্রায়শই করে থাকেন। আর এর ফলে তার ইউটিউবের প্রায় চার লক্ষ ফেসবুকে এক লক্ষ ৬০ হাজার এবং ইনস্টাগ্রামে ষাট হাজার ফলোয়ার্স রয়েছে।
advertisement
ছোটবেলা থেকেই সুবর্ণা একটু অন্য ধরনের প্রকৃতিতে মানুষ হয়েছেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি গান, নাচ, ছবি আঁকাতেও সমান পারদর্শী তিনি। বিএসসি পরীক্ষায় পাশ করে ২০১৭ সালে ডিএলএড পাস করেন তিনি। এরপর ২০২১ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দেন এবং সেখানেও পাশ করে ২০২৪ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তর দিনাজপুর জেলার নলবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন। তার বক্তব্য ছোটবেলা থেকেই তার বাইক চালানোর খুব শখ তাই তার স্বপ্ন ছিল একদিন এই বাইক তিনি নিজে কিনে চালাবেন। আজ স্কুলে চাকরি পেয়ে নতুন বাইক কিনে সেই বাইক নিয়েই এখন বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করেন পাশাপাশি স্কুলেও আসেন। আরও জানলে অবাক হয়ে যাবেন এই দিদিমণি তার এই শখের বাইকের নাম দিয়েছেন শ্যাডো। শুধু তাই নয় এই দিদিমণি স্কুলে যেমন আসেন বাইক চালিয়ে তেমনি পাহাড়েও ছুটে বেড়ান বাইক নিয়েই । সম্প্রতি বাইক নিয়ে কলকাতার দিদি নম্বর ওয়ান থেকেও ঘুরে এসেছেন তিনি ।
আরও পড়ুন-দিঘায় এবার পা রাখা ভয়ঙ্কর…! পর্যটকদের জন্য যা করল ভারতীয় রেল, জানলে যাওয়ার আগে দু’বার ভাববেন আপনিও
এদিকে দিদিমনির এই কান্ড কারখানাতে প্রশংসায় পঞ্চমুখ নলবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৃদঙ্গ কুমার দাসের। তিনি বলেন সুবর্ণা ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে খুবই প্রিয় মানুষ। ও যেভাবে পড়ুয়াদের সঙ্গে বন্ধুর মত মিশে যেতে পারে চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না।লেখাপড়ার পাশাপাশি নাচ ,গান, আবৃত্তি আঁকা সবকিছুতেই পড়ুয়াদের উৎসাহ দেন প্রতিনিয়ত। এমনকি সুন্দর করে সাজিয়েছেন নিজে হাতে নিজের স্কুলটাকেও। সুবর্ণা মজুমদার আরো বলেন জীবন একটাই বাঁচলে নিজের শর্তেই বাঁচবো আনন্দ করে বাঁচবো। তিনি আরো বলেন আমি একটা কথাই সবসময় মনে রাখি কারো ক্ষতি করছি তো না।তাই মাউন্টেন গার্ল সুবর্ণা মজুমদার এখন সকল ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে চোখের মনি ।
পিয়া গুপ্তা