এভাবেই প্রায় গ্রামের কয়েকশো পরিবার ভাঙাচড়া পুরনো গাড়ির কাটাই-এর কাজ করে বাড়িতেই রোজগারের পথ বেছে নিয়েছেন। জেলা এমনকী ভিন জেলা থেকেও পুরনো গাড়ি থেকে শুরু করে লোহার বিভিন্নরকম আসবাবপত্র এই গ্রামে বিক্রি করতে আসেন অনেকে। সেই পুরনো ভাঙা গাড়ি এবং লোহার সামগ্রী কম দামে কিনে নিয়ে খুলে কেটে রাখা হয় গোডাউনে।
advertisement
এর পর পরিমাণ মতো জমা হয়ে যাওয়ার পর লরিতে করে রফতানি করা হয় লোহা কারখানাগুলোতে। দুর্গাপুর, আসানসোল সহ ভিন রাজ্য দিল্লিতেও পাড়ি দেয় এই গ্রামের কাটা লোহাগুলো। ২৮০০ থেকে ৩০০০ টাকা কুইন্টাল দরে পুরনো লোহাগুলো রফতানি হয়। সেই পুরনো রোড থেকেই আবার লোহা কারখানাগুলোতে তৈরি হয় লোহার নতুন একাধিক সামগ্রী।
এক লোহা রফতানিকারক রবিউল ইসলাম বলেন, “প্রায় ১৫ বছর থেকে আমরা এই লোহা ভাঙা কাজের সঙ্গে যুক্ত। আগে গ্রামের অধিকাংশ পুরুষরা ভিন রাজ্যে কাজ করত। ভিন রাজ্যে কাজ করার সময় বিভিন্ন রকম সমস্যায় পড়তে হত তাদের। এর পর আমরা রোজগারের বিকল্প পথ হিসেবে এই লোহা ভাঙা কাজ কে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছি। আজ গ্রামের প্রায় অধিকাংশ পুরুষই বাড়িতে থেকেই লোহা ভাঙার কাজ করে ব্যাপক টাকা আয় করেন।”
আরও পড়ুন- রাত ১২টায় দুবাইয়ে জন্মদিন সেলিব্রেশন সৌরভের, কেক কেটে খাইয়ে দিলেন স্ত্রী ডোনাকে
মালদহ জেলায় আম চাষ ও কৃষি চাষের পাশাপাশি একাধিক ধরনের কাজ লক্ষ্য করা যায়। তেমনি মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের মিল্কি গ্রাম পঞ্চায়েত ও শোভানগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার এই লোহা কাটার কাজের সঙ্গে যুক্ত। দিনে প্রায় ৫০০ থেকে হাজার টাকা আয় করে রোজগারের এমন বিকল্প পথ বেছে নিয়েছেন গ্রামের পুরুষরা।
প্রায় ১৫ বছর থেকে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তারা। বর্তমানে কর্মসংস্থানের জন্য যেতে হচ্ছে না ভিন রাজ্যে বাড়িতে থেকেই এই কাজ করে পরিবারের হাল ধরছেন গ্রামের কয়েক শতাধিক পুরুষরা। তবে তারা চান জেলাতেই লোহার কারখানা হলে তাদের এই কাজ আরও উন্নত হবে এবং কর্মসংস্থানের আরও সুযোগ বাড়বে।
জিএম মোমিন