এক মুখা শিল্পী অভিজিৎ চৌধুরী জানান, “মুখা তৈরি করতে একটা বড় কাঠকে গোলাকার ভাবে ছোট করে কেটে কেটে খোদায় করে মুখার ভাস্কর্য আকার তৈরি করা হয়। এই মুখা তৈরি দক্ষ কারুশিল্পীরা করে থাকেন। এই কারুশিল্পের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বাজারে। পড়ুয়াদের এই মুখা কারুশিল্প বাণিজ্যিক ভাবেও রোজগারের দিশা দেখাবে।”
আরও পড়ুন: কীটপতঙ্গের জ্বালায় মাথায় হাত পড়ছে চাষিদের! কীভাবে মিলবে সুরাহা, হাতেকলমে দেখাল উদ্যান পালন দফতর
advertisement
এ বিষয়ে মালদহ কলেজ অধ্যক্ষ মানস কুমার বৈদ্য জানান, “বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের হস্তশিল্পের ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে। বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে এই কারুশিল্পের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বাজারে। পড়ুয়াদের এই মুখা তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যাতে তারা পড়াশুনার পাশাপাশি কারুশিল্প মুখা তৈরি করে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হতে পারবেন।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মূলত এই মুখা বাংলার লোকনৃত্য মুখা বা মুখোশ নাচের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। একসময় প্রাচীন অবিভক্ত দিনাজপুরের গমীরা মুখা নাচের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রচলন ছিল এই মুখার। আজও উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের গমীরা সহ বাংলার বিভিন্ন জেলায় লোকনৃত্য ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে মুখা।
জিএম মোমিন