তবে কম্বলে টান লাগতেই নার্সিং ছাত্রীরা জেগে যান। তাঁদের চিৎকারে পালিয়ে যান অভিযুক্ত। সিসিটিভি ভেঙে ফেলেছে দুষ্কৃতী। এরপরেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় নার্সিং হস্টেল চত্বরে। বালুরঘাট নার্সিং স্কুল কর্তৃপক্ষ এনিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন বালুরঘাট থানায়। এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় নিরাপত্তার ঘাটতি এখনও কতটা রয়েছে হাসপাতাল চত্বরে।
আরও পড়ুন: সাত মাসেই সব শেষ! প্রকল্পে কারচুপি হচ্ছে না তো! অতিষ্ঠ বাসিন্দারা
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই সকালেই জেলা হাসপাতালে আসেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, হাসপাতাল সুপার সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। যদিও আধিকারিকদের দাবি, পূর্ব নির্ধারিত মিটিং করার জন্যই তাঁরা এসেছিলেন। মিটিং শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস জানান, “ঘটনার কথা তিনি শুনেছেন। এবিষয়ে জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। দুষ্কৃতী কে, তা চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন তিনি।”
ডিএসপি সদর বিক্রম প্রসাদ জানান, “খবর পেয়েই পুলিশ নার্সিং স্কুলে যায়। তদন্তে উঠে আসে মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় একজন পাঁচিল টপকে ভেতরে ঢোকে। অভিযোগ ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা করে। একটি সিসি ক্যামেরা ভেঙে নিয়ে যায়। পুলিশ সেখানকার অন্য সিসি ক্যামেরা দেখে অভিযুক্তকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এখনও পর্যন্ত যা উঠে এসেছে তাতে একজন ভেতরে ঢুকেছিল। বাইরে একজন ছিল। এই ঘটনায় দ্বিতীয়জনের ভূমিকা কি ছিল খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
তবে আর জি কর কাণ্ডের পর রাজ্যের সব মেডিক্যাল হাসপাতালের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এলাকায় সিসিটিভি বসানো হয়েছে। তারপরেও অভিযুক্ত কি করে হস্টেলে ঢুকে পড়ল? রাতে মহিলাদের নিরাপত্তাই বা কি? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
সুস্মিতা গোস্বামী





