এবার জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চ নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের সুর সপ্তমে। তৃণমূল সরকারের দাবি, তাদের উদ্যোগেই দীর্ঘদিনের দাবি মতো জলপাইগুড়ি পেল সার্কিট বেঞ্চ। কিন্তু, ভোটের মুখে নরেন্দ্র মোদি এসে সেই সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছেন। শুক্রবার, সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন করেন মোদি। এর কৃতিত্বও দাবি করেন। এ নিয়েই তরজা তুঙ্গে।
advertisement
আরও পড়ুন: মোদি সব থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রধানমন্ত্রী, পাল্টা দিলেন মমতা
একদিন নরেন্দ্র মোদি দাবি করেন, ‘এই যে সার্কিট বেঞ্চ পেলেন, কলকাতা হাইকোর্টে ১৩-১৪ সাল আগে ক্যাবিনেট মঞ্জুরিও দিয়ে দিয়েছিল। এত বছর আগে সবুজ সংকেত পেলেও এখন সফল হল। এখানকার সংবেদনহীন সরকার বোঝেই না, ছোট ছোট মামলার জন্য গরিব মানুষকে কতটা সমস্যায় পড়তে হয়।’
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন,‘সার্কিট বেঞ্চ আমাদেরই করা।....বর নেই কনে নেই , ব্যান্ডপার্টি নিয়ে হাজির , মিথ্যে কথা বলছেন.... মোদি পাগল....’
আরও পড়ুন: 'দিদি, চা-ওয়ালাকে এত ভয় কেন?', জলপাইগুড়ির জনসভায় কটাক্ষ মোদির
এবার বাংলা থেকে ২৩ টি লোকসভা আসনে জেতার স্বপ্ন দেখছেন অমিত শাহ। তাঁদের বিশেষ নজর, সীমান্ত লাগোয়া উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু আসন। শুক্রবার, জলপাইগুড়ির সভা থেকে সেই উত্তরবঙ্গের মানুষের মন জয়ের চেষ্টা করলেন নরেন্দ্র মোদি। যে চা বাগান ইস্যু রাজ্য রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তাকেই হাতিয়ার করার চেষ্টা করলেন মোদি। বার্তা দিলেন চা-শ্রমিকদের পাশে থাকার।
এদিনের সভায় মোদি বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সঙ্গে আমার বিশেষ সম্পর্ক। সেটা চায়ের সম্পর্ক। আপনারা চা তৈরি করেন। আমি চাই বানাই। এখানকার চা দুনিয়ায় প্রসিদ্ধ। চায়েওয়ালো সে দিদিকি ইতনি চিড় কিউ হ্যায়.....উত্তরবঙ্গ তিনটি টিয়ের জন্য বিখ্যাত। টি, টিম্বার, ট্যুরিজম। বাম সরকার ও তৃণমূল সরকার, কমিউনিস্ট পার্ট টু - সব আমলেই এরা বঞ্চিত। ’
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় বামেদের তাড়িয়েছি, এখান থেকে তৃণমূলকে তাড়াব: মোদি
তবে এর পাল্টা দিতেও দেরি করেনি মমতা ৷ ‘ভোটের আগে চাওয়ালা, ভোটের পর রাফালওয়ালা...চা বাগানের জন্য কিছুই তো করেনি’, বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
ভোট যত আসছে ততই সব পক্ষ সুর চড়াচ্ছে। এ দিন রাজ্যে মোদি আসার পর তরজা একেবারে তুঙ্গে।