কীভাবে হল এই মকড্রিল? পাহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাবে ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুর অভিযানে’ পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস, সেই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে শুরু হয়েছে অসামরিক যুদ্ধ মহড়া। বুধবার জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির একটি বেসরকারি বিদ্যালয়, শ্রী শ্রী নিত্যকমলানন্দ সারদা শিশু মন্দিরে নজিরবিহীন দৃশ্যের সাক্ষী থাকল স্থানীয়রা।
আরও পড়ুনঃ বাড়িতে একের বেশি তুলসীগাছ থাকলে সংসার তছনছ? সর্বাধিক কটি তুলসীচারা রাখা যেতে পারে? ক্ষতি এড়াতে জানুন
advertisement
বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে চালানো হল যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির ‘মক ড্রিল’। হঠাৎ সাইরেন বাজতেই ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা জানলা-দরজা বন্ধ করে নিরাপদ আশ্রয়ে আশ্রয় নেয়, ঠিক যেমনটা করা উচিত কোনও বিমান হামলার সময়ে। শুধু তাতেই থেমে থাকেনি এই উদ্যোগ। বোমাবর্ষণের পর আহতদের কিভাবে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে হয়, কিভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে এলাকা সুরক্ষিত করা যায়, সবই হাতে-কলমে শেখানো হয় শিক্ষার্থীদের।
এই মহড়ায় শুধু শিশু নয়, অংশ নেন শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিশুদের মানসিকভাবে প্রস্তুত করাই ছিল এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য, ভয়ের নয়, সচেতনতাই এখন সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। স্কুলের পাশাপাশি জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনে দশ মিনিটের জন্য আলো নিভিয়ে যাত্রীদের যুদ্ধকালীন সচেতনতা বৃদ্ধির বার্তা দিল রেল কর্তৃপক্ষ। সেখানেও শেখানো হল যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কিভাবে নিজেদের রক্ষা করা যাবে।
উল্লেখ্য, শুধু সীমান্তে নয়, আজ গোটা দেশই যুদ্ধের ছায়ায়—তবে আতঙ্ক নয়, জাগছে প্রস্তুতির সাহস। শিশুদের হাত ধরে নতুন প্রজন্ম যেন শিখে নিচ্ছে, বিপদের মুখে মাথা ঠান্ডা রাখাই আসল অস্ত্র।
সুরজিৎ দে





