কখনও তালাচাবি, কখনও আবার চিরুনি, টুথব্রাশ কিংবা রাইফেল। মাইক্রো সাইজের তাঁর এই কাজগুলো সবই তৈরি হয়েছে পেন্সিলের শিসে, যাকে বলে ‘পেন্সিল কার্ভিং’। এছাড়াও কাচের ছোট শিশির ভেতরে জাহাজ, ট্রি হাউস, অবতার সিনেমার সেই ভাসমান পাহাড় , হন্টেড হাউস বানিয়ে তাক লাগাচ্ছেন শিলিগুড়ির কাঞ্চন (অভিলাষ) ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন: জবা ফুলে ম্যাজিকের মতো দূর হবে খুশকি! বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে ব্যবহার করুন
advertisement
ছোটবেলা থেকেই এসবের দিকে ঝোঁক ছিল অভিলাষের। তাকে এক বন্ধু পেন্সিলের শিসে আম্মা লেখা একটি ছবি পাঠিয়েছিল। সেটা দেখে প্রথমে বিশ্বাস হয়নি কিন্তু নিজে চেষ্টা করতেই সাফল্য মেলে। তারপর থেকেই ক্র্যাফটিংয়ের নেশাটা তখন থেকেই যেন জাঁকিয়ে বসে। এরপর আর থেমে থাকেননি অভিলাষ। একের পর এক পেন্সিল কার্ভিং, মিনিয়েচার ইকোসিস্টেম, টাউনশিপ ইত্যাদি বানিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছেন বারবার।
কাঞ্চনের কথায়, ‘মূলত বাইরের দেশে এসবের চল রয়েছে। সিনেমায় মিনিয়েচার টাউনশিপ কিংবা স্টান্ট লোকেশন বানিয়ে ব্যবহার করা হয়। ভিএফএক্সের কাজে লাগে। কিন্তু আমাদের শহরে তেমন কিছুই নেই। শিখতে চেয়েছি, কিন্তু শেখানোর মতো কাউকে পাইনি। যা শেখা সব নিজের ভুল থেকে ও ইউটিউব ঘেঁটে। গুগল থেকেই শেখা।’
কীভাবে তৈরি হয় এই ডিজাইন? এত সূক্ষ্ম কাজ মাইক্রোস্কোপ ছাড়া খালি চোখে সম্ভব? কাঞ্চনের উত্তর, “ধৈর্য ও অনেকটা মনোযোগ- এই দুই জিনিস থাকলেই সব সম্ভব। পেন্সিলের শিসে ভীষণ সতর্কভাবে কাটতে হয়, নয়তো গোটা শিস ভেঙে গেলে ক্র্যাফটের ক্যানভাসটাই নষ্ট হয়ে যাবে। এর জন্য আলাদা কোনও টুল ব্যবহার করি না। সুচ, ব্লেড দিয়েই কার্ড করি। একটি কার্ভিং করতে লাগে অন্তত ২ ঘণ্টা। আর খুব সূক্ষ্ম কাজ হলে তার পিছনে দিনের পর দিন চলে যায়। আমার প্রথম কাজটি করতে লেগেছিল প্রায় ২০ দিন।’ ভবিষ্যতে এই শিল্পকেই পেশা হিসাবে নিতে চান তিনি । তার কথায় , এই কাজ করে তিনি উপার্জন করবেন , সে কথা তিনি ভাবেননি। তবে এই কাজ তিনি চালিয়ে যাবেন ।’’
অনির্বাণ রায়





