সীমান্তে ভারতের ঘাড়ে যখন চিন নিশ্বাস ফেলছে, তখন চিন সীমান্ত থেকে কিছুটা দূরে মালবাজার এলাকার ভারতীয় সেনা তাদের যুদ্ধ মহড়া প্রদর্শনী এবং অস্ত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করল।
আরও পড়ুন- বাড়েনি ভাড়া, অনশনের হুঁশিয়ারি উত্তরবঙ্গের বেসরকারি বাস মালিকদের
দেশের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য যে কোনো পরিস্থিতিতে প্রস্তুত ভারতীয় সেনাবাহিনী। আর সেটারই প্রস্তুতি সেরে নিল ভারতীয় সেনা। তিস্তার চরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইন্টিগ্রেটেড ফায়ার এক্সেসাইজ অনুষ্ঠিত।
advertisement
ডুয়ার্সের বাগরাকোট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সাওগাঁও বস্তির দক্ষিণে তিস্তার সঙ্গে মিশেছে দুই পাহাড়ি নদী লিস ও ঘিস। অপর প্রান্তে রয়েছে বৈকুন্ঠ পুর বনাঞ্চলের এলাকা। এই এলাকাটি গোলন্দাজ বাহিনীর চাঁদমারি হিসাবে পরিচিত।
এলাকাটি শিলিগুড়ি শহরের সন্নিকটে। এরকম এক জায়গায় মঙ্গলবার তিস্তা ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ত্রিশক্তি কোর-এর ব্যবস্থাপনায় মঙ্গলবার 'ইন্টিগ্রেটেড ফিল্ড ফায়ার এক্সেসাইজ' অনুষ্ঠিত হল।
এদিন একাধিক অত্যাধুনিক কামান থেকে গোলাবর্ষণ করার পাশাপাশি স্থল সেনার একাধিক যুদ্ধের কৌশল দেখানো হয়। এদিনের যুদ্ধের মহড়ায় বিভিন্ন প্রকার বন্দুক, মর্টার শেলিং, ইনফেন্ট্রি কমব্যাট ভেইকেল, ট্যাঙ্ক, ধ্রুব অ্যাডভানস লাইট হেলিকপ্টার এর কার্যপদ্ধতি প্রদর্শন করা হয়।
ত্রিশক্তি কোর এর কৃপাণ ডিভিশনের পক্ষ থেকে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্তে রাতের বেলায় এবং পাহাড়ি এলাকায় এই ধরনের অপারেশনের জন্য সেনাবাহিনী সব সময়েই তৈরি থাকে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সেই জন্য এমন প্রস্তুতির মহড়া নিয়মিত ব্যাবধানে করা হয়।
আরও পড়ুন- পুলিশ ধরল দুই দালালকে, তৃতীয়জন যা নিয়ে পালাল, অবিশ্বাস্য!
এদিনের অস্ত্র ব্যাবহারের মহরায় উপস্থিত ছিলেন ত্রিশক্তি কোর এর জেনারেল অফিসার কমান্ডিং লেফটেন্যান্ট জেনারেল তরুণ কুমার আইচ, পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত, বন্যপ্রাণী বিভাগের সি সি এফ রাজেন্দ্র জাখর সহ অন্যান্য সেনার আধিকারিক। প্রদর্শনী দেখতে উপস্থিত ছিল বিভিন্ন বিদ্যালয়ের স্কুল পড়ুয়া এবং এন.সি.সি'র সদস্যরাও।
মঙ্গলবার দুপুরে জলপাইগুড়ির বাগড়াকোট এলাকার তিস্তা নদীর পাড়ে সেনাবাহিনীর তরফে যুদ্ধের মহড়া অনুষ্ঠিত হল। পাশাপাশি এদিন অস্ত্র প্রদর্শনী করা হয়। সেই সঙ্গে একাধিক অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার দিয়ে করা হয় গোলাবর্ষণ। যুদ্ধের মহড়া দেখে খুশি ছাত্রছাত্রীরা।