৩৫০ বছরের ঐতিহ্য বহন করে চলা মালদহের পাহাড়পুর চণ্ডী মণ্ডপে অষ্টমীর দিন জেলার নানা প্রান্ত থেকে হাজার হাজার পুণ্যার্থী অঞ্জলি দিতে ভিড় করেন। সেই দিনই ভান্ডারার আয়োজন করা হয়। এই বছরও ব্যতিক্রম হচ্ছে না। বিশাল এলাকাজুড়ে ভান্ডারার জন্য প্যান্ডেল তৈরি হচ্ছে। উদ্যোক্তাদের দাবি, এই বছর প্রায় ১৫ হাজার ভক্ত ও পুণ্যার্থীকে বসিয়ে দ্বিপ্রাহরিক সেবা করা হবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ঘর থেকে বিশ্রী গন্ধ! দরজা খুলতেই শিউড়ে ওঠার মতো ছবি, পঞ্চমীর সকালে খড়দহে পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার
ভান্ডারা কমিটি জানিয়েছে, এই বছর প্রায় ১০ লক্ষ টাকা বাজেট ধরা হয়েছে। এই খরচ মেটাতে কমিটির ৫২ জন সদস্য তথা পরিযায়ী শ্রমিক মাথাপিছু ১১ হাজার টাকা করে চাঁদা দিয়েছেন। ভোগের মেনুতে থাকবে বিভিন্ন ধরণের ফল, লুচি, তরকারি ও হালুয়া। সপ্তমীর রাতে মা চতুর্ভূজা চণ্ডী দেবীকে ঘিরে জাগরণ অনুষ্ঠিত হবে। তারপরেই অষ্টমীর সকাল থেকে শুরু হবে বিশাল ভান্ডারার আয়োজন।
ভান্ডারা কমিটির সদস্য শ্যামল ঋষি বলেন, এলাকার শতাধিক মানুষ হরিয়ানায় রান্নার কাজ করি। বিভিন্ন পুজোর অনুষ্ঠানে ভোগ রান্নার অভিজ্ঞতা আমাদের রয়েছে। সেখানকার প্রথা দেখেই আমরা গ্রামে ভান্ডারার আয়োজন শুরু করি। আরেক সদস্য মিঠুন রায় বলেন, সাতদিন হল ভিনরাজ্য থেকে বাড়ি ফিরেছি। প্রতিবছরের মতো এই বছরও ভান্ডারায় অংশ নিচ্ছি।
সদস্য মনোজ ঋষির কথায়, আমরা ভান্ডারায় নিজেরাই রান্না করি। বাইরে কাজ করার সময় অনেক কষ্ট হয়। এই ভান্ডারার পুণ্যই যেন সারাবছর আমাদের সুস্থভাবে ও সফলভাবে কাজ করার শক্তি জোগায়। সেই বিশ্বাস নিয়েই প্রতি বছর গ্রামে ফিরে একত্রিত হয়ে এই আয়োজন করা হয়।