TRENDING:

ভক্তদের মুখে ভোগ তুলে দেবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা! অষ্টমীতে 'এই' মণ্ডপে ভান্ডারার আয়োজন, ১২ বছর ধরে অটুট প্রথা

Last Updated:

Migrant Workers: একটানা ১২ বছর ধরে পরিযায়ী শ্রমিকেরা এই ঐতিহ্য বজায় রেখে চলেছেন। তাঁদের উদ্যোগে অষ্টমীর দিন মা চণ্ডীদেবীর ভক্তদের উদ্দেশে বিশাল ভান্ডারার আয়োজন করা হয়। পাহাড়পুর চণ্ডী মণ্ডপে অষ্টমীর দিন ভান্ডারার আয়োজন করা হয়।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
মালদহ, সেবক দেবশর্মাঃ সারা বছর ভিনরাজ্যে কাজ করে তাঁরা পেট চালান। পেটের তাগিদে কেউ হরিয়ানা, কেউ দিল্লি, কেউ আবার রাজস্থানে রান্নার কাজ করেন। তবে দুর্গোৎসবের অষ্টমী তিথিতে গ্রামে এসে তাঁরা একত্রিত হয়ে সেবামূলক কর্মযজ্ঞে যুক্ত হন। একটানা ১২ বছর ধরে চাঁচলের পাহাড়পুরের পরিযায়ী শ্রমিকেরা এই ঐতিহ্য বজায় রেখে চলেছেন। তাঁদের উদ্যোগে অষ্টমীর দিন মা চণ্ডীদেবীর ভক্তদের উদ্দেশে বিশাল ভান্ডারার আয়োজন করা হয়।
পরিযায়ী শ্রমিকদের ভান্ডারার আয়োজন
পরিযায়ী শ্রমিকদের ভান্ডারার আয়োজন
advertisement

৩৫০ বছরের ঐতিহ্য বহন করে চলা মালদহের পাহাড়পুর চণ্ডী মণ্ডপে অষ্টমীর দিন জেলার নানা প্রান্ত থেকে হাজার হাজার পুণ্যার্থী অঞ্জলি দিতে ভিড় করেন। সেই দিনই ভান্ডারার আয়োজন করা হয়। এই বছরও ব্যতিক্রম হচ্ছে না। বিশাল এলাকাজুড়ে ভান্ডারার জন্য প্যান্ডেল তৈরি হচ্ছে। উদ্যোক্তাদের দাবি, এই বছর প্রায় ১৫ হাজার ভক্ত ও পুণ্যার্থীকে বসিয়ে দ্বিপ্রাহরিক সেবা করা হবে।

advertisement

আরও পড়ুনঃ ঘর থেকে বিশ্রী গন্ধ! দরজা খুলতেই শিউড়ে ওঠার মতো ছবি, পঞ্চমীর সকালে খড়দহে পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার

ভান্ডারা কমিটি জানিয়েছে, এই বছর প্রায় ১০ লক্ষ টাকা বাজেট ধরা হয়েছে। এই খরচ মেটাতে কমিটির ৫২ জন সদস্য তথা পরিযায়ী শ্রমিক মাথাপিছু ১১ হাজার টাকা করে চাঁদা দিয়েছেন। ভোগের মেনুতে থাকবে বিভিন্ন ধরণের ফল, লুচি, তরকারি ও হালুয়া। সপ্তমীর রাতে মা চতুর্ভূজা চণ্ডী দেবীকে ঘিরে জাগরণ অনুষ্ঠিত হবে। তারপরেই অষ্টমীর সকাল থেকে শুরু হবে বিশাল ভান্ডারার আয়োজন।

advertisement

ভান্ডারা কমিটির সদস্য শ্যামল ঋষি বলেন, এলাকার শতাধিক মানুষ হরিয়ানায় রান্নার কাজ করি। বিভিন্ন পুজোর অনুষ্ঠানে ভোগ রান্নার অভিজ্ঞতা আমাদের রয়েছে। সেখানকার প্রথা দেখেই আমরা গ্রামে ভান্ডারার আয়োজন শুরু করি। আরেক সদস্য মিঠুন রায় বলেন, সাতদিন হল ভিনরাজ্য থেকে বাড়ি ফিরেছি। প্রতিবছরের মতো এই বছরও ভান্ডারায় অংশ নিচ্ছি।

সদস্য মনোজ ঋষির কথায়, আমরা ভান্ডারায় নিজেরাই রান্না করি। বাইরে কাজ করার সময় অনেক কষ্ট হয়। এই ভান্ডারার পুণ্যই যেন সারাবছর আমাদের সুস্থভাবে ও সফলভাবে কাজ করার শক্তি জোগায়। সেই বিশ্বাস নিয়েই প্রতি বছর গ্রামে ফিরে একত্রিত হয়ে এই আয়োজন করা হয়।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
ভক্তদের মুখে ভোগ তুলে দেবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা! অষ্টমীতে 'এই' মণ্ডপে ভান্ডারার আয়োজন, ১২ বছর ধরে অটুট প্রথা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল