সোমবার মাঝরাত থেকেই নকশালবাড়ি ব্লকের একাধিক জায়গা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। যার জেরে সমস্যায় পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। সকাল হতেই খবর পেয়ে এলাকা পরিদর্শনে যান প্রশাসনিক কর্তারা। যান বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের কর্তারাও। দ্রুত গতিতে কাজ শুরু করেন। দিনভর কার্যত অন্ধকারেই ডুবে ছিল এলাকা। তারপর বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। মাল্লাবাড়ির বাসিন্দা তৌসিফ খান বলেন, ‘‘প্রচণ্ড দাপট ছিল ঝড়ের। যার জেরে এলাকায় ব্যপক ক্ষতি হয়।’’ এদিকে এ দিন রাত হতেই ফের মুষলধারায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে নকশালবাড়িতে। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা।
advertisement
আরও পড়ুন : ২ বছরের চেষ্টাতেও পাননি চাকরি, অর্থনীতিতে স্নাতক তরুণী এখন ‘চায়ওয়ালি’
শুধু নকশালবাড়ি নয়, ঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিলিগুড়ি লাগোয়া ফুলবাড়ির বেশ কয়েকটি এলাকা। ফুলবাড়ির ব্যাটেলিয়ন মোড়ে রাস্তার ধারের বড় বড় হোর্ডিং হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে দোকানের ওপর! যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩টি দোকান।
আরও পড়ুন : নামের পাশে ‘ডক্টর’ পরিচয়! ৩০ বছর ধরে রাস্তার ধারে খাবার বিক্রি করছেন এই মহিলা
আরও পড়ুন : মাছ, মাংস, দুধ ফ্রিজে কীভাবে রাখলে অনেক দিন অবধি সেগুলি তাজা থাকবে?
পাশাপাশি ফুলবাড়ির পশ্চিম ধনতলায় সুপারি গাছ উপড়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। সঙ্গে হোর্ডিং, ব্যানারও ভেঙে পড়ে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা প্রশাসনিক সাহায্যের দাবি জানিয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ভাস্কর পোদ্দার জানান, ‘‘এখানকার সবাই ছোটোখাটো ব্যবসায়ী। ঝড়ের তাণ্ডবে দোকান ভেঙে পড়ায় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। প্রশাসন এগিয়ে না এলে সমস্যা বাড়বে।’’ শিলিগুড়ি শহর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকাতে শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। বেশ কয়েক ঘন্টা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ছিল। পাহাড়েরও বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির খবর রয়েছে। তবে বড়সড় ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস রয়েছে, উত্তরবঙ্গজুড়েই কালবৈশাখীর সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সতর্ক প্রশাসনও।