রাজ্য সরকার রুপশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের বিবাহযোগ্যা মেয়েদের বিয়ের জন্যে সাহায্য করে। সেই প্রকল্পের মাধ্যমেই বুধবার ৫১০ যুগলের বিয়ে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে থেকে দাঁড়িয়ে। শুধু বিয়ে দিয়ে ক্ষান্ত নয়। এর সঙ্গে আগামী দিনে সংসার করার জন্য আদিবাসী যুগলদের হাতে তুলে দেবেন বাসন, পোশাক-সহ একাধিক জিনিসপত্র। মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, ‘‘আমি আপনাদের পাশে সব সময় আছি। আর্শীবাদ করি আপনারা ভাল থাকুন। রাজ্য সরকার সবদিক থেকে সাহায্য করবে।’’
advertisement
মুখ্যমন্ত্রীর থেকে সাহায্য পেয়ে খুশি হয়েছিলেন নব্য বিবাহিতরা ৷ চা বাগানের শ্রমিকদের যারা গণবিবাহে হাজির থাকবেন তারা জানিয়েছেন, ‘‘রাজ্য সরকার সাহায্য করায় আমরা খুশি। বিয়ের সাথে সংসার পাতার জিনিস দেওয়ায় আমি খুশি।’’ একই রকম ভাবে খুশি গোপাল ওঁরাও। গতবার মধ্য চল্লিশের গোপাল বিয়ে করেন চা বাগানে কর্মরতা ললিতা তামাংকে। তিনি বলেন, ‘‘এখন মাসে রোজগারের টাকা আমরা ঠিক সময়ে পেয়ে যাচ্ছি। ফলে বিয়ে করে সংসার চালাতে আর অসুবিধা হচ্ছে না।" আগামিকাল ৫১০ যুগলের বিবাহের অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে খুশির আবহ তৈরি হয়েছে কালচিনি জুড়ে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে উপহার তুলে দেবেন কয়েকজন আদিবাসী যুগলের হাতে৷ কথা বলবেন তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে।
আরও পড়ুন-পঞ্জিকা ৭ জুন: দেখে নিন নক্ষত্রযোগ, শুভ মুহূর্ত, রাহুকাল এবং দিনের অন্য লগ্ন
রাজনৈতিক মহলের মতে চা বাগানের একাধিক জায়গায় এভাবে গণবিবাহের অনুষ্ঠানের আয়োজন করত বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এবার সেই জায়গায় সরকার বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় আদিবাসীদের কাছে তৃণমূল কংগ্রেস পৌছে যেতে পারবে। উত্তরবঙ্গের চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ছিল ১৭৬ টাকা। সম্প্রতি রাজ্য সরকার চা শ্রমিকদের অন্তর্বর্তীকালীন মজুরি আরও ২৬ টাকা বাড়িয়ে দিয়ে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছে। বাগানের শ্রমিকদের জন্য ‘চা সুন্দরী’ প্রকল্পে ঘর তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। আবার, ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে অবসরপ্রাপ্ত চা শ্রমিক ও ৬০ বছর উত্তীর্ণ আদিবাসীদের জন্য ‘জয় জোহার’ প্রকল্পে মাসিক ১০০০ টাকা করে ভাতারও ব্যবস্থা করেছে।