কোচবিহারের জনবিন্যাসে রাজবংশী ও মতুয়া সম্প্রদায়ের বড় অংশ থাকার বিষয়টি রাজনৈতিক ভাবে এই অঞ্চলকে সংবেদনশীল করে তুলেছে। তাই আজ রাসমেলা ময়দানের সভা থেকে এসআইআর ও নাগরিকত্ব ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন, সেদিকেই এখন রাজনৈতিক মহলের নজর।
advertisement
এসআইআর নিয়ে মানুষের মনে আতঙ্ক দূর করতেই মমতা জেলায়-জেলায় রাজনৈতিক সফর শুরু করেছেন। প্রথম সভাটি করেছিলেন বনগাঁয়। তারপর মালদহ, মুর্শিদাবাদ। আজ সভা করবেন কোচবিহার রাসমেলা ময়দানে।
বনগাঁ থেকে মমতা পরপর রাজনৈতিক সভায় একটিই কথা বলছেন, “আমি ভোট চাইতে আসিনি। যখন নির্বাচন হবে, তখন ভোটের কথা বলব। আমি এসেছি শুধুমাত্র আপনাদের পাশে থাকতে। আমি জানি, আপনারা সকলেই উদ্বিগ্ন। যে কায়দায় তড়িঘড়ি এসআইআরের কাজ চলছে, তা অবৈজ্ঞানিক। তিন বছরের কাজ তিন মাসে হয় না। আমি সবাইকে একথাই বলতে চাই, কেউ নিজের জীবন বিসর্জন দেবেন না। ভয় পাবেন না। আমি থাকতে কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে যেতে হবে না। কাউকে পুশব্যাক করা হবে না। যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁরা সবাই নাগরিক। কাউকে বাদ দেওয়া যাবে না।”
কোচবিহার থেকে সোমবার নির্বাচন কমিশনের অপরিকল্পিত এসআইআর চালু করা নিয়ে ফের তোপ দাগেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। একদিকে রাজ্যের উন্নয়নের কাজ আটকে রেখে আধিকারিকদের উপর এসআইআর নিয়ে চাপ প্রয়োগ করছে নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে তাদেরই পরিকাঠামোর সমস্যায় বিঘ্নিত সেই এসআইআর-এর কাজ। এর পিছনে কমিশনের ডবল ইঞ্জিন সরকারকে মদত দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, এই অভিযোগ তুলে কোচবিহারের প্রশাসনিক সভা থেকে কমিশনকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর।
