ভুড়ভুড়িয়ে আসবে কুঁড়ি...! 'গোলাপ' গাছের মাটিতে মেশান 'প্রাকৃতিক' সার, ফুলের ভারে নুইয়ে পড়বে গাছ, চোখ ধাঁধাবে বাগান!

গোলাপ কে না ভালোবাসে? এর সৌন্দর্য এবং সুবাস যে কাউকে মন্ত্রমুগ্ধ করে দেয় মুহূর্তের মধ্যে। আর ঠিক সেই কারণেই বোধহয় মানুষ তাদের বারান্দায় অথবা বাগানে গোলাপ গাছ লাগাতে ভালোবাসেন।

তবে গোলাপ গাছ লাগানোর সমস্যা হল গোলাপ খুবই সুখী গাছ। সঠিক যত্ন ছাড়া এই গাছটি ফুল ফোটা বন্ধ করে দেয়। কখনও কখনও গাছটি পাতায় পাতায় ভরে যায়, কিন্তু ফুল ফোটে না। একটা কুঁড়ির মুখ দেখতে রীতিমতো হা-পিত্যেশ হাল হয়।

আপনার গোলাপ গাছটিতেও কি ফুল ফোটা বন্ধ হয়ে গিয়েছে? তাহলে অবশ্যই আপনি এমন কিছু সতর্কতা নিয়ে ফেলুন এই বেলা যা ম্যাজিকের মতো ফিরিয়ে আনবে আপনার প্রিয় গোলাপ গাছের ফুলের বাহার। আসুন, আজ এই প্রতিবেদনে জেনে নিই গোলাপ গাছে ফুল ফোটার ৫ মোক্ষম কার্যকরী টিপস।

সঠিক মাটি নির্বাচন করুন:আপনার গোলাপ গাছের জন্য সঠিক মাটি নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই গাছটি উর্বর, দোআঁশ মাটিতে বেড়ে ওঠে। মাটিতে জৈব সার (যেমন গোবর সার বা ভার্মিকম্পোস্ট) যোগ করলে সেই মাটিতে গাছটির প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায়।

এছাড়াও, নিষ্কাশনের দিকে মনোযোগ দিন, কারণ গোলাপের শিকড় অপরিবর্তিত থাকলে পচে যেতে পারে। যদি টবে রোপণ করেন, তাহলে নিষ্কাশনের জন্য গর্ত থাকা উচিত।

সঠিক পরিমাণে সূর্যালোক পাওয়া অপরিহার্য:গোলাপ গাছের প্রতিদিন কমপক্ষে ৬-৮ ঘণ্টা সরাসরি সূর্যালোকের প্রয়োজন হয়। যদি গাছটি পর্যাপ্ত সূর্যালোক না পায়, তাহলে এতে কম ফুল আসতে পারে বা দুর্বল হয়ে যেতে পারে। অতএব, এমন জায়গায় গোলাপ রোপণ করুন যেখানে পর্যাপ্ত সকালের সূর্যালোক পাওয়া যায়।

নিয়মিত জল দিন:গোলাপ গাছে নিয়মিত জল দেওয়া উচিত, তবে নিশ্চিত করুন যে মাটি খুব বেশি ভেজা না থাকে। গ্রীষ্মে, প্রতিদিন গাছে জল দিন, শীতকালে, মাটির আর্দ্রতা অনুসারে জল দিন। জল দেওয়ার সময় পাতা ভেজা এড়িয়ে চলুন, কারণ এতে ছত্রাকের সমস্যা হতে পারে।

নিয়মিত ছাঁটাই করুন:আপনার গোলাপ গাছকে সুস্থ রাখতে এবং আরও ফুল ফোটাতে, নিয়মিত ছাঁটাই করুন। বিবর্ণ ফুল এবং মৃত কাণ্ড অপসারণ করুন যাতে গাছটি নতুন ফুল ফোটার জন্য পুষ্টি সঞ্চয় করতে পারে।

শীতের পরে বা বসন্তের শুরুতে নতুন শাখা প্রশাখা গজাতে এবং ফুলের সংখ্যা বাড়াতে গাছটিকে ভাল ভাবে ছাঁটাই করুন।

সঠিক সার এবং কীটনাশক ব্যবহার করুন:গোলাপ গাছের পুষ্টির প্রয়োজন। তাই, মাসে একবার জৈব সার (যেমন নিমের খোসা, কলার খোসার কম্পোস্ট) অথবা রাসায়নিক সার (NPK) দেওয়া উপকারী।

পাশাপাশি গাছটিকে পোকামাকড় এবং রোগ থেকে রক্ষা করতে নিম তেল বা অন্যান্য প্রাকৃতিক কীটনাশক ব্যবহার করুন। যদি আপনি পাতায় কালো দাগ বা পাউডারি মিলডিউ লক্ষ্য করেন, তাহলে অবিলম্বে তার চিকিৎসা করুন।