এবারের সফরের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছিলেন মালবাজারের দুর্ঘটনায় প্রয়াতদের বাড়িতে তাঁদের আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে। সেই প্রসঙ্গও এদিন উঠে আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে। তিনি বলেন, ''মালবাজারের ঘটনার সব পরিবারের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করেছি। যারা যারা চাকরি করতে চায়। ওই সময়ে বিজয়া ছিল, দশমী ছিল। যে ঘটনাটা ঘটে গেছে, তার জন্য খুব মর্মহত। আমি সবাইকে পাঠিয়েছিলাম।''
advertisement
আরও পড়ুন: বিজেপি ছাড়ছেন? সুকান্তকে বেনজির আক্রমণ শানিয়ে বিস্ফোরক সৌমিত্র খাঁ
এখানেই শেষ নয়, মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, ''আমি সব থেকে বেশি উত্তরবঙ্গে আছি। ২ মাসে অন্তত একবার আসি। নর্থ বেঙ্গল, সাউথ বেঙ্গল মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। আমরা এখানে পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য এখানে অনেক কিছু বানিয়েছি। টুরিজম ডেস্টিনেশনের জন্য সম্মান দেওয়া হয়েছে। মার্চ মাসে যাব এই সম্মান আনতে। দুর্গাপুজোর জন্য আমরা সম্মান পেয়েছি। কিন্তু এই সম্মানটা অনেক বড়।''
আরও পড়ুন: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ নেতা কেরিম খানকে জেরা, দিদির ঘরে সিবিআই হানা
উত্তরবঙ্গের মন বুঝেই মমতা বলেন, ''যতটা পেরেছি চেষ্টা করেছি এই জায়গাতে সব কিছুর ব্যবস্থা করতে। ইউনেস্কো দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ সম্মান দিয়েছে। আমরা প্রায় ৬ হাজার ক্লাবকে এখানে ৬০ হাজার টাকা দিয়েছি। বাংলায় ৮৩ হাজার পুজো হয়েছে।''
প্রসঙ্গত, এদিনের বিজয়া সম্মেলনীতে আমন্ত্রিতের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩০ হাজার। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গের সব জেলা জুড়ে সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি পুজো কমিটি আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিল। অনুমোদিত পুজোগুলি থেকে পাঁচজন করে এই বিজয় সম্মেলনীর অনুষ্ঠানে এসেছিল। সেক্ষেত্রে প্রায় ২৮ হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি ছিলেন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন ক্লাব থেকে। পাশাপাশি বণিক সভা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এই বিজয়া সম্মেলনীতে। বস্তুত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের সংগঠনকে মজবুত করতে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী। সেই সূত্রেই এদিনের বিজয়া সম্মেলনীর মঞ্চকে অত্যন্ত সুচারুভাবে ব্যবহার করলেন তিনি।