সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে জলপাইগুড়ির বড়দীঘী হাই স্কুল হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে পৌঁছাবেন মুখ্যমন্ত্রী। ওঅ দিন রাতে থাকবেন জলপাইগুড়ির মাল বাজারেই। পরের দিন অর্থাৎ ১৮ তারিখ মালবাজার আদর্শ বিদ্যালয় স্কুলে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন এবং মালবাজারে হড়পা বানের নিহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। মালবাজারের এই দুর্ঘটনার পরে মৃতদের পরিবারকে দু লক্ষ এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল রাজ্য। কেন্দ্রের তরফেও ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করা হয়েছিল। নবান্ন সূত্রে খবর, ওই দিন বানের মধ্যেই যারা সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে উদ্ধার করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের তাদের পুরস্কৃত করা হবে।
advertisement
আরও পড়ুন- একেবারে ধপাস! আউট হয়ে প্যাভিলিয়ানে ফেরার সময় মুখ থুবড়ে পড়লেন ক্রিকেটার, ভাইরাল ভিডিও
যদিও গোটা ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফে বিস্তৃত বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। নবান্ন বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল ওই দিন উত্তরবঙ্গে কোনও অস্বাভাবিক বৃষ্টি হয়নি। সম্ভবত রাজ্যের বাইরে মাল নদীর ক্যাচমেন্ট এলাকায় বৃষ্টি হয়েছিল। মেঘ ফাটার কারণে এই জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল কিনা তাও গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফলে এই জলোচ্ছ্বাসের কোনও আগাম খবর পাওয়া সম্ভব ছিল না। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছিল দুর্ভাগ্যবশত কোনও বিশেষ অভিসন্ধি নিয়ে কিছু শ্রেণীর মানুষ একটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে কেন্দ্র করে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধির যেভাবে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে তা নিন্দনীয়।
এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর মালবাজার দিয়ে শুরু হওয়ায় যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। মুখ্যমন্ত্রীর সফরসূচি অনুযায়ী ওই বৈঠকের পর ওই দিনই হেলিকপ্টারে করে মালবাজার থেকে রওনা দিবেন শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে। শিলিগুড়ির দেবগ্রাম হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে পৌঁছে উত্তরকন্যার কন্যাশ্রী গেস্ট হাউসেই ১৮ তারিখ রাতে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। ১৯ তারিখ কাওয়াখালী মাঠে বিজয়া সম্মেলনে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বিজয়া সম্মেলনীতে রাজ্য সরকারের শীর্ষ আধিকারিকদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এই সম্মেলনে উত্তরবঙ্গের শিল্প মহলের প্রতিনিধিদের ও আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। ২০ তারিখ কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।