নদীর তীরবর্তী এলাকার গ্রামবাসীরা জানান, “প্রায় ৩০ বছর আগে এই নদীর জলই একমাত্র ভরসা ছিল তাদের। রান্না, স্নান, খাওয়ার জন্য ব্যবহার হত এই নদির জল। কিন্তু এখন সব অতীত। এই নদীর তীরবর্তী লাগোয়া গজিয়ে উঠেছে একাধিক শিল্প কারখানা ও ইটভাটা। আর সেই কারখানা এবং ইট ভাটার নোংরা আবর্জনার ফলে দূষিত হচ্ছে নদীর জল। নদীর দূষিত জলের ফলে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ যার ফলে বিভিন্ন রোগের সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের।”
advertisement
আরও পড়ুন: রাজরাজেশ্বরী বেশে তারা মায়ের পুজো, অমাবস্যায় ফলহারিণী কালীপুজোয় তারাপীঠে ভক্ত সমাগম
এ প্রসঙ্গে পুরাতন মালদহের পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ বলেন, “শিল্প কারখানার পচা জলে দূষিত হচ্ছে প্রসিদ্ধ এই নদী। কচুরিপানা ও আগাছায় ভরেছে জলের স্রোত। শিল্প কারখানার নোংরা জল ও আবর্জনা পড়ছে এই নদীতে এসে। যার ফলে দূষিত হচ্ছে নদী। আমরা বিষয়টি নিয়ে রাজ্য স্তরে জানাব। যেন দ্রুত সংস্কারের কাজ করা হয়।”
শহুরে শিল্প বিপ্লবের ফলে আজ অবহেলায় পড়ে রয়েছে এই বেহুলা নদী। জীবন দায়ী এই বেহুলা নদী এখন নিজেরই প্রাণ রক্ষায় ব্যর্থ। বর্তমানে এই বেহুলা নদীর গা ঘেঁষে গড়ে উঠেছে একাধিক শিল্প কারখানা। আধুনিক যুগের প্রযুক্তির কাছে হার মানছে প্রকৃতির এই সুন্দর নদী।