আইএনটিটিইউসির প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সভামঞ্চ থেকে একের পর এক এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের একাংশ। যে মন্তব্য নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় এলাকার রাজনৈতিক মহল। পাল্টা তীব্র আক্রমণ শানাচ্ছেন বিরোধীরও।
মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর- ১ ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর শহিদ মোড়ে আইএনটিটিইউসির প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে শনিবার একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভাতেই মঞ্চ থেকে পুলিশকে বেলাগাম আক্রমণ করলেন হরিশ্চন্দ্রপুর- ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মক্রম আলি এবং জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি বিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
মক্রম আলি অভিযোগ করেন, পুলিশের একাংশ বিরোধীদের হয়ে কাজ করছে। পঞ্চায়েত ভোটের সময় তৃণমূল কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এমনকি, মঞ্চ থেকে নেতা দাবি করেন, পুলিশের জন্যই হরিশ্চন্দ্রপুর পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের।
এভাবে বিরোধীদের হয়ে ‘কাজ’ করলে পুলিশ বা প্রশাসনকে ছেড়ে কথা বলা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন ওই তৃণমূল নেতা। এমনকি, এবার ব্লক, পঞ্চায়েত ও থানাও ঘেরাও করার নিদান দেন।
আরও একধাপ এগিয়ে জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি বিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যে সব পুলিশ অফিসার মানুষের জন্য কাজ করছে না, তাঁদের বিছুটি পাতা ঘষে দেওয়া হবে।’’ শুধু বক্তৃতার সময়েই নয়, এরপর সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনেও নিজেদের বক্তব্যে অনড় থাকেন তাঁরা।
যদিও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মোশারফ হোসেন ওই নেতাদের বক্তব্যকে তাঁদের ব্যক্তিগত মন্তব্য হিসাবে অভিহিত করেছেন। উনি জানিয়েছেন, ওই কথাগুলি দলের বক্তব্য নয়।
অন্যদিকে, বিজেপি নেতা কিষাণ কেডিয়ার কটাক্ষ, ‘‘তৃণমূল এই সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত। রাজ্যজুড়ে ইডির হানা চলছে। হয়ত, এরপর হরিশ্চন্দ্রপুরেও আসতে পারে। তাই, দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।’’ কংগ্রেস নেতা আবদুস শোভানের দাবি, ‘‘পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করার পরেও তৃণমূল হেরে গিয়েছে। এখন হারের জ্বালা সহ্য না করতে পেরে তৃণমূলের এই মন্তব্য।’’