আরও পড়ুন: ক্লাসরুমের তালা খুলতেই হাড়হিম দৃশ্য! ফণা উঁচিয়ে এগিয়ে এল গোখরো সাপ! তারপর যা হল...
অন্যদিকে তৃণমূল বিধায়কের পক্ষ নিয়ে পাল্টা যুক্তি দিতে থাকেন তৃণমূল জেলা পরিষদ সদস্যরা। এই পরিস্থিতিতে দু'পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়।গোলমালের সূত্রপাত হয় জেলায় ভাঙন সমস্যা প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিজেপির দাবি ঘিরে (Maldah News)। তৃণমূলের বিধায়ক বলেন, মালদহের ভাঙন নিয়ে উদাসীন বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার। বন্যা, ভাঙন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্যরা রাজ্যে এসে হেলিকপ্টারে ঘোরেন। প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু কাজ কিছুই করেন না। মালদহের ভাঙনরোধের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের।
advertisement
বিজেপি সংসদ খগেন মুর্মু পাল্টা চিৎকার করে বলতে থাকেন, কেন্দ্রের কাছে ভাঙনরোধ নিয়ে রাজ্য সরকার কোনও প্রস্তাবই পাঠায়নি। তৃণমূল বিধায়কও পাল্টা বলতে থাকেন, মিথ্যে বলছেন বিজেপি সংসদ। তাছাড়া, বিজেপি সাংসদ ও বিধায়করা জেলা পরিষদের বাজেট বৈঠকে এসব না বলে কেন্দ্রীয় সরকারকে বলুন। এভাবেই চলতে থাকে দু'পক্ষের বচসা চাপানউতোর। এদিকে শুধু ভাঙনরোধের ইস্যু নয়, "সভাধিপতি" নির্বাচন না করে সভাধিপতি ছাড়াই বাজেট পাস করানোর সাধারণ সভা ডাকা নিয়েও সরব হন বিজেপি সাংসদ ও বিধায়করা। বাজেট বৈঠকে এক্সিকিউটিভ অফিসারের না থাকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: ভোট প্রচারে আসা হিরণকে ঘিরে বিক্ষোভ, অনুন্নয়নের অভিযোগ তুলে যা করলেন স্থানীয়রা!
পাল্টা তৃণমূলের সদস্যরা চিৎকার জুড়ে দেন সভাধিপতি ছাড়া বাজেট হবে না পঞ্চায়েত আইনে এমন কোনও উল্লেখ নেই। সবমিলিয়ে মালদা জেলা পরিষদের বাজেট বৈঠকে দফায় দফায় শাসক ও বিরোধী(Maldah News) কথাকাটাকাটির ছবি ধরা পড়ে। বৈঠকের শেষে বাকবিতণ্ডার কথা স্বীকার করে মালদহ জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি চন্দনা সরকার বলেন, বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা অযৌক্তিক প্রসঙ্গ ও দাবি তুলেছিলেন। জেলা পরিষদ সরকারি নিয়ম মেনেই পরিচালিত হচ্ছে। তাছাড়া বাজেট বৈঠকের সভাধিপতির থাকা বাধ্যতামূলক নয়।