জানা গিয়েছে, ১১ বছর আগে ইংরেজবাজার থানার অন্তর্গত ৫২ বিঘা বাগবাড়ি এলাকার লাভলী রবিদাসের সঙ্গে পুরাতন মালদার বালাসাহাপুরের যুবক গণেশ রবিদাসের সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়। তাঁদের এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। এক বছর আগে গণেশ রবিদাসের মৃত্যু হয়। অভিযোগ, ের পর থেকেই গৃহবধূ লাভলীকে শ্বশুরবাড়িতে নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ। গৃহবধূর পরিবারের দাবি, বাড়িতে 'বিধবা' থাকাতে দেওরের বিয়ে হচ্ছে না। এই অভিযোগ তুলেই মারধর ও অপবাদ দিয়ে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে দেওর ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
advertisement
সমস্যা মেটানোর জন্য সোমবার রাতে গ্রামে সালিশি সভা ডাকা হয়। অভিযোগ, সেই সালিশি সভায় স্থানীয় বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যের উপস্থিতিতে বেধড়ক মারধর করা হয় গৃহবধূ ও তাঁর বাপের বাড়ির লোকজনকে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য়। প্রহৃতরা মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মালদহ থানায় ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা দেওর ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
আরও পড়ুন : পথের কাঁটা কোথায়? কেন বার বার ডেডলাইন ফেল করছে নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রো পরিষেবা
আক্রান্ত গৃহবধূর বাবা সুবল রবিদাস বলেন, " মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে নানাভাবে অত্যাচার করা হচ্ছিল। বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। সমস্যা মেটাতে আমরা গ্রামে আলোচনা সভায় বসি। সেইখানেই বিনা প্ররোচনায় আমাদের ওপর হামলা হয়।" এদিকে সালিশি সভায় উপস্থিত বিজেপির সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য জীবন মন্ডল বলেন, " সালিশি সভায় আমি উপস্থিত ছিলাম এটা ঠিকই। ওই সভায় দু'পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি, বচসা শুরু হয়ে যায়। এই জন্য আমরা পুলিশের মাধ্যমে অভিযোগের নিষ্পত্তির কথা বলি। আমার উপস্থিতিতে কোনও মারধর বা হামলা হয়নি।"