এই শ্রীখোল তৈরি করেই মাসে প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করে রোজগারের পথ দেখাচ্ছেন মালদহের কার্তিক দাস। নিজে এই শ্রীখোল বাদ্যযন্ত্র তৈরি এবং বিক্রি করছেন দোকানে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শ্রীখোল কিনতে আসছেন অনেকে। শ্রীখোল বিক্রেতা কার্তিক দাস জানান, একটি উপযুক্ত আকারের কাঠ বা মাটির পাত্র দিয়ে তৈরি করা হয় এই শ্রীখোল।
advertisement
আরও পড়ুন : ‘আদি-নব্য’ বিবাদ অতীত, দিঘায় দুই প্রজন্মের মিলন শিবজায়ার হাত ধরে
নদীয়া থেকে শ্রীখোল তৈরির বিভিন্ন পাত্র এনে তার ওপর ছাগল বা গরুর চামড়া এবং সুতো ও চামড়ার ফিতে বেঁধে তৈরি করা হয় শ্রীখোল। একটি শ্রীখোলের দাম তিন থেকে আট হাজার টাকা। একটি শ্রীখোল তৈরি করতে প্রায় দুই থেকে তিন দিন সময় লাগে। অর্ডার অনুযায়ী শ্রীখোল তৈরি করা হয়। মাসে প্রায় ১৫ থেকে ১৬ টি শ্রীখোল তৈরি করে বিক্রি করি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রায় ৩০ বছর ধরে দোকান করে এই বাদ্যযন্ত্র তৈরি করে বিক্রি করছেন মালদহের অমৃতি সিকান্দরপুর এলাকার বাসিন্দা কার্তিক ঘোষ। অন্যান্য বাদ্যযন্ত্রের চাহিদা কমলেও আজও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এই শ্রীখোলের। লোকসংস্কৃতি, হরিনাম সংকীর্তন ইত্যাদি সংগীত শিল্পীরা এই বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার করে থাকেন। তাই চাহিদা থাকায় আজও এই শ্রীখোল প্রস্তুতকারকদের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখযোগ্য।