শেষ পর্যন্ত রাস্তা না করেই বোর্ড ঝোলানো হয়েছে। অথচ, আদিনা থেকে চাকলি পর্যন্ত এলাকার মধ্যে ১৬ কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের অযোগ্য। শুধু তাই নয়, এলাকায় দুটি নদীর উপর সেতু তৈরির কাজও হয়নি। ফলে নৌকো পারাপার করেই চলাচল করতে হচ্ছে রাধাকান্তপুর, জগন্নাথপুর এবং রামকৃষ্ণপুর এলাকার বাসিন্দাদের। বুধবার সকাল থেকে এলাকায় অবরোধের সামিল হন মহিলারা।
advertisement
আরও পড়ুন: লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের চাকরি বিক্রি! এবার নজরে প্রকাশ সাহা
তাঁদের অভিযোগ, রাস্তার জন্য গ্রামের অনেকে জমি দিয়েছিলেন। কিন্তু, বছরের পর বছর কেটে গেলেও রাস্তার কাজ হয়নি। প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে বারবার দরবার করেও সুফল মেলেনি। কৃষিপ্রধান এলাকায় শুধু বেহাল যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকরা। এরই প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে শুরু হয় আন্দোলন। অবরোধের কারণে ব্যস্ততম রাজ্য সড়কে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। সমস্যায় পড়েন প্রচুর সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: লাল টুকটুকে নয়, কালো কুচকুচে এই টমেটো ক্যানসার প্রতিরোধক, জানুন
স্থানীয় বাসিন্দা মুক্তি বিশ্বাস, ললিতা ঠিকাদার, পলাশ রায় প্রমুখ বলেন, পূর্ত দফতর আদিনা থেকে চাকলি পর্যন্ত ৩৩.৬৮ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির কাজ হাতে নিয়েছিল। এর মধ্যে অর্ধেকের কিছু বেশি কাজ হওয়ার পর অজ্ঞাত কারণে কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে। বর্তমানে ১৬ কিলোমিটার রাস্তার এবং দুটি সেতু তৈরির কাজ অসম্পূর্ণ। এজন্য প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের। এখনও সেতুর অভাবে নৌকো পারাপার করে চলাচল করতে হচ্ছে।
সবচেয়ে অসুবিধেয় পড়ছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। একই ভাবে অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতেও বেগ পেতে হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ অবিলম্বে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করতে হবে। এদিন অবরোধের খবর পেয়ে এলাকায় যায় হবিবপুর থানার পুলিশ অবরোধকারীদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরানোর চেষ্টা হয়। তবে এরপরেও রাস্তার কাজ না হলে ফের বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
সেবক দেবশর্মা