ইংরেজ বাজার ব্লকের লক্ষীঘাট, নগরাই ও রতুয়া দুই ব্লকের কোকলামারি, মোর্চা, চৌদুয়ার-সহ দশটি গ্রামের প্রায় কয়েক হাজার বাসিন্দা যাতায়াত করেন কালিন্দী নদীর লক্ষী ঘাট হয়ে। বাঁশের সাঁকো থাকায় সহজে নদী পার করে যাওয়া যেত শহরে। শুধু মানুষ নয়, এই সাঁকো হয়ে নদী পার করত মোটরবাইক, অ্যাম্বুলেন্স-সহ একাধিক দু’চাকা, চারচাকা গাড়ি।
advertisement
তবে গত মাসে আচমকাই কালিন্দী নদীর জল বাড়ায় ভেসে যায় সেই বাঁশের সাঁকো। বর্তমানে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা করে নদী পার করতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। প্রতিদিনই প্রায় কয়েক হাজার গ্রামবাসী এই কালিন্দী নদী পারাপার করেন। ঝুঁকিপূর্ণ হলেও উপায় নেই। কেউ রোজগারের তাগিদে আবার কেউ চিকিৎসার জন্য এই নদী পার করে যান শহরে।
আরও পড়ুনঃ আজব কাণ্ড মালদহে! ভাঙন এলাকায় বসেছে মেলা, কীসের টানে ধেয়ে আসছে ভিড়?
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে নৌকায় করে। কখনও এক ঘন্টা তো কখনও দু’ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় নৌকার অপেক্ষায়। বাঁশের সাঁকো না থাকায় এখন অনেক সমস্যা হচ্ছে। তাই পাকা ব্রিজের দাবি তুলেছেন গ্রামবাসীরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন জানান, এই ঘাট জেলা পরিষদের অধীনে। বর্তমানে জল বাড়ায় বাঁশের সাঁকো তুলে নেওয়া হয়েছে। নৌকায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বনে ঘাট কর্তৃপক্ষকে সচেতন করা হয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি মতো পাকা সেতুর জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।