কামতাপুরীদের কর্মসূচির ঘোষণা থাকলেও বেলা পর্যন্ত স্টেশনের আশেপাশে দেখা যায়নি রেল অবরোধ সমর্থকদের। সূত্রের খবর, কর্মসূচি ঠেকাতে দুদিন আগে থেকেই আন্দোলনকারীদের গতিবিধির ওপর নজরদারি শুরু করে পুলিশ।
আজ ভোর থেকে নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় একলাখী স্টেশন। ফলে মালদহে এদিন ট্রেন চলাচল ছিল কার্যত স্বাভাবিক। কামতাপুরী স্টেট ডিমান্ড ফোরামের কর্মসূচির কার্যত কোনও প্রভাবই পড়েনি মালদহে।
advertisement
তবে ময়নাগুড়ি স্টেশনে দীর্ঘক্ষণ রেল অবরোধের জেরে কলকাতামুখি ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। হাওড়া ও শিয়ালদহগামী ট্রেনগুলি মালদহে পৌঁছায় নির্দিষ্ট সময়ের থেকে বেশ কিছুটা দেরিতে। ফলে খানিকটা সমস্যায় পড়েন রেল যাত্রীরা। এদিন বেলার দিকে হবিবপুরের পাকুয়ায় রেল অবরোধ কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানায় আন্দোলনের নেতৃত্ব। তবে একইসঙ্গে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কামতাপুর স্টেট ডিমান্ড ফোরাম নেতৃত্ব। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশ ভয় ভিত্তি প্রদর্শন ও বাঁধা সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ তোলেন কামতাপুর নেতৃত্ব।
পৃথক কামতাপুর রাজ্য গঠন এবং কামতাপুরি ভাষার স্বীকৃতির দাবিতে পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তরবঙ্গ জুড়ে ফের সক্রিয় কামতাপুরিরা। দাবি আদায়ের জন্য আলাদাভাবে গঠন করা হয়েছে কামতাপুরীদের একাধিক সংগঠনের মিলিত সংগঠন কামতাপুর স্টেট ডিমান্ড ফোরাম। এই ফোরামের নেতৃত্বেই আজ উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও মালদহে রেল অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। উত্তরবঙ্গ জুড়ে রেল চলাচল স্তব্ধ করাই ছিল লক্ষ্য। যদিও কর্মসূচির আঁচ পেয়ে আগে থেকেই সক্রিয় হয় পুলিশ। কর্মসূচির জেরে রেল চলাচলে যাতে কোনওরকম বাঁধা সৃষ্টি না হয়, এজন্য মালদহের গাজোল, হবিবপুর-সহ একাধিক জায়গায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়।