TRENDING:

Malda News: চার বছর কেটে গেল! আজও ত্রিপল ছেড়ে খড়েও ছাউনিও পেল না মালদার ৩০০ পরিবার

Last Updated:

পূর্ণবাসন না মেলায় এখনও অসহায় অবস্থায় রয়েছে তিন শতাধিক পরিবার।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
মালদহ: ভাঙনে ভিটেমাটি সব হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়ে রয়েছে গঙ্গাতীরের বাসিন্দারা। গত চার বছর ধরে ভূমিহীন অবস্থায় রয়েছে মালদহের কালিয়াচক-৩ নম্বর ব্লকের বীরনগর পঞ্চায়েত একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা। ২০২০ সালে গঙ্গা ভাঙনের তলিয়ে গিয়েছে বাড়িঘর। তারপর থেকেই অন্যের জমির উপর অস্থায়ী ছাউনি তৈরি করে রয়েছেন দূর্গতরা। বহুবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও এখনও পর্যন্ত কোনও সুব্যবস্থা হয়নি অসহায় এই পরিবারগুলির। প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন দূর্গতরা। দুর্গত অজয় মণ্ডল বলেন, ‘২০২০ সালে গঙ্গা ভাঙনে বাড়িঘর ভিটেমাটির সমস্ত কিছু হারিয়েছি। অন্যের জমিতে বসবাস করছি অস্থায়ী ছাউনিতে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন সাহায্য করা হয়নি। আমরা বারবার পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে আসছি।’
advertisement

প্রায় প্রতিবছর মালদহে ব্যাপক হারে গঙ্গার ভাঙন হচ্ছে। ২০২০ সালে কালিয়াচক-৩ নম্বর ব্লকের বীরনগর পঞ্চায়েতর চীনাবাজার, দূর্গারামটোলা, দীনুটোলা ও ভীমাগ্রামে ব্যাপক গঙ্গার ভাঙন হয়। ভাঙনের কবলে পড়ে চারটি গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক পরিবার। গ্রামগুলি প্রায় বিলীন হয়ে যায় গঙ্গার ভাঙনে। সেই সময় অসহায় পরিবারগুলি আশ্রয় নেই গ্রামের পাশেই অন্যের জমিতে। প্রায় চার বছর হয়ে গেলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন সুব্যবস্থা করা হয়। পরিবারগুলির এখনও পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়নি। এমনকি পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রিপল দেওয়া হয়নি অসহায় পরিবারগুলিকে। চার বছর ধরে তাই এখনও অস্থায়ী ছাউনি করে থাকতে হচ্ছে।

advertisement

আরও পড়ুন: পায়ে ফুটবল নাচিয়ে রেকর্ড! কামাল করে দেখাল মালদহের স্কুল পড়ুয়া

কালিয়াচক-৩ নম্বর ব্লকের বিডিও সুকান্ত সিকদার বলেন, সমস্যায় রয়েছেন বহু পরিবার। এর আগে আমরা কিছু ত্রিপল প্রদান করেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গতদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের কাছে সেই তালিকা পাঠানো হবে। প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত সুব্যবস্থা করা হবে।

advertisement

View More

আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালে মর্গের ভিতর একী কাণ্ড! জীবিতদেরও প্রাণ ওষ্ঠাগত

পরিবারগুলি বহুবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন কিন্তু কোন সূরাহা হয়নি। প্রশাসনিক কর্তারা একাধিকবার পরিদর্শন করেছে। তারপর কোন পুনর্বাসন বা জমি প্রদান করা হয়নি। অসহায় পরিবারগুলি চাইছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হোক। যদিও প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, ইতিমধ্যে অসহায় পরিবার গুলিকে পুনর্বাসনের জন্য তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী দ্রুত সুব্যবস্থা করা হবে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
প্রয়োজন পড়বে না পুকুর বা জলাশয়ের দুরন্ত পদ্ধতিতেই মাছের ব্যবসা করলেই আয় হবে লক্ষাধিক
আরও দেখুন

হরষিত সিংহ

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
Malda News: চার বছর কেটে গেল! আজও ত্রিপল ছেড়ে খড়েও ছাউনিও পেল না মালদার ৩০০ পরিবার
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল