মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই শিক্ষণ পদ্ধতি চালু হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য, মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের গ্রামীণ চিকিৎসা বিষয়ে সচেতন করা। একইসঙ্গে গ্রামীন চিকিৎসার সম্পর্কে ধারণা করে তুলতেই এমন উদ্যোগ। পাশাপাশি, এর ফলে উপকৃত হবেন পিছিয়ে পড়া গ্রামের মানুষজন।
আরও পড়ুনঃ ব্যবহার করতেই হবে লোগো, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার টাকা নিয়ে রাজ্যকে শর্ত কেন্দ্রের
advertisement
কী হবে এই দত্তক ব্যবস্থায়?
জানা গিয়েছে, মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি পালা করে নিয়মিত আদিবাসী অধ্যুষিত এই গ্রামে যাতায়াত করবেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। তাঁরা এসে প্রাথমিক চিকিৎসা করবেন। পরামর্শ দেবেন, ওষুধ দিয়ে সাহায্য করবেন। আশা কর্মীদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখবেন। প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন হাসপাতালে পাঠাবেন রোগীদের। সবমিলিয়ে ১২৫ জন ডাক্তারির পড়ুয়া গ্রাম দত্তক কর্মসূচিতে যুক্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ পোড়া দুধের চা খেয়েছেন কখনও? নামমাত্র টাকায় আসানসোল মেতেছে নয়া স্বাদে
পুরাতন মালদহের ঝাড়পুকুরিয়া ও সোনাঝুড়ি এই দুটি গ্রাম আর্থিক ও সামাজিক দিক দিয়ে অত্যন্ত পিছিয়ে পড়া। বেশিরভাগ মানুষ আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত। গ্রামের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়লে সঠিক চিকিৎসা করাতে পারেন না। আবার চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে সঠিক ধ্যানধারণা না থাকায় অনেকে ওঝা- গুনিন, বা কোয়াক বা হাতুড়ে চিকিৎসকদের পাল্লায় পড়েন। এই অবস্থায় গ্রাম দত্তক কর্মসূচিতে বাসিন্দারা উপকৃত হবেন বলে আশা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের।
মালদহ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থ প্রতীম মুখোপাধ্যায় বলেন, ডাক্তারী পড়ুয়াদের যাতে নিয়মিত যোগাযোগ থাকে সেই জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে একই সঙ্গে উপকৃত হবেন গ্রামবাসীরা। আবার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারবেন পড়ুয়ারা।
সেবক দেবশর্মা