TRENDING:

অসুস্থ হলে আর ছুটতে হবে না হাসপাতালে, দুয়ারে পৌঁছবেন ডাক্তাররাই

Last Updated:

Malda Medical College: চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই শিক্ষণ পদ্ধতি চালু হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য, মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের গ্রামীণ চিকিৎসা বিষয়ে সচেতন করা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#মালদহঃ মালদহে আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম 'দত্তক' নিল মেডিক্যাল কলেজ। আজ থেকে পুরাতন মালদহের ভাবুক পঞ্চায়েতের ঝাড়পুকুরিয়া ও সোনাঝুড়ি গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্যরক্ষার দায়িত্ব নিল মেডিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা। আগামী পাঁচ বছর পিছিয়ে পড়া এই গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্যরক্ষার দায়িত্ব নেবে মালদহ মেডিক্যালের পড়ুয়ারা। একেকজন পড়ুয়া পাঁচটি করে পরিবারের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয় দেখভাল করবেন। আজ দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রামে গিয়ে দত্তক নেওয়ার কর্মসূচি হয়। উপস্থিত ছিলেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, সুপার এবং প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা।
advertisement

মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই শিক্ষণ পদ্ধতি চালু হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য, মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের গ্রামীণ চিকিৎসা বিষয়ে সচেতন করা। একইসঙ্গে গ্রামীন চিকিৎসার সম্পর্কে ধারণা করে তুলতেই এমন উদ্যোগ। পাশাপাশি, এর ফলে উপকৃত হবেন পিছিয়ে পড়া গ্রামের মানুষজন।

আরও পড়ুনঃ ব্যবহার করতেই হবে লোগো, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার টাকা নিয়ে রাজ্যকে শর্ত কেন্দ্রের

advertisement

কী হবে এই দত্তক ব্যবস্থায়?

জানা গিয়েছে, মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি পালা করে নিয়মিত আদিবাসী অধ্যুষিত এই গ্রামে যাতায়াত করবেন ডাক্তারি  পড়ুয়ারা। তাঁরা এসে প্রাথমিক চিকিৎসা করবেন। পরামর্শ দেবেন, ওষুধ দিয়ে সাহায্য করবেন। আশা কর্মীদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখবেন। প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন হাসপাতালে পাঠাবেন রোগীদের। সবমিলিয়ে ১২৫ জন ডাক্তারির পড়ুয়া গ্রাম দত্তক কর্মসূচিতে যুক্ত হয়েছেন।

advertisement

আরও পড়ুনঃ পোড়া দুধের চা খেয়েছেন কখনও? নামমাত্র টাকায় আসানসোল মেতেছে নয়া স্বাদে

পুরাতন মালদহের ঝাড়পুকুরিয়া ও সোনাঝুড়ি এই দুটি গ্রাম আর্থিক ও সামাজিক দিক দিয়ে অত্যন্ত পিছিয়ে পড়া। বেশিরভাগ মানুষ আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত। গ্রামের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়লে সঠিক চিকিৎসা করাতে পারেন না। আবার চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে সঠিক ধ্যানধারণা না থাকায় অনেকে ওঝা- গুনিন, বা কোয়াক বা হাতুড়ে চিকিৎসকদের  পাল্লায় পড়েন। এই অবস্থায় গ্রাম দত্তক কর্মসূচিতে বাসিন্দারা উপকৃত হবেন বলে আশা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের।

advertisement

মালদহ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থ প্রতীম মুখোপাধ্যায় বলেন, ডাক্তারী পড়ুয়াদের যাতে নিয়মিত যোগাযোগ থাকে সেই জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে একই সঙ্গে উপকৃত হবেন গ্রামবাসীরা। আবার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারবেন পড়ুয়ারা।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা, এসব করতে গিয়ে মিস করেছেন প্রতিমা দর্শন? চিন্তা কীসের!
আরও দেখুন

সেবক দেবশর্মা

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
অসুস্থ হলে আর ছুটতে হবে না হাসপাতালে, দুয়ারে পৌঁছবেন ডাক্তাররাই
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল