বাড়ির মধ্যেই পায়ে দাঁড়ানো যেন দায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল তার। প্রায় ৬ মাস থেকে হাঁটতে পারছিলেন না নিজের বাড়িতেই। শৌচালয় যাওয়া, খাওয়া দাওয়া, স্নান, সর্বক্ষেত্রেই বাড়ির বিছানাই ছিল তার একমাত্র ভরসা। কোমর ব্যথা, পেট ব্যথা সহ একাধিক সমস্যার কারণে জীবনযাত্রা যেন থমকে ছিল তার।
আরও পড়ুন: হাতে দলীয় পতাকা, একাই তেহট্ট থেকে পায়ে হেঁটে ২১ জুলাই সভায় যোগদানে চললেন নদিয়ার যুবক
advertisement
তবে এখন একেবারে সুস্থ হয়েছেন তিনি। নামিদামি কোন হাসপাতালে না গিয়ে সোজা এসে ভর্তি হন মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অস্ত্রোপচারের সাত দিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন গৃহবধূ জাহানারা খাতুন।
আরও পড়ুন: পাটখেতে পড়ে কিশোরীর দেহ… গলায় পেঁচানো ওড়না! ঘটনা কী? আতঙ্কে হাড়হিম এলাকা
গৃহবধূ জাহানারা খাতুন জানান, আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় কোন বেসরকারি অথবা নামিদামি হাসপাতালে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। সরাসরি পরিবারের লোকেরা মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পেট ব্যথা, কোমর ব্যথা সহ একাধিক সমস্যায় ভুগছিলাম। এখানে আসলে চিকিৎসকরা এমআরআই রিপোর্ট করতে বলেন। এমআরআই রিপোর্টের পর চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করেন। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। বর্তমানে সুস্থ রয়েছি, হাঁটতে পারছি খুব ভাল লাগছে।
মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ পার্থ প্রতীম মুখোপাধ্যায় বলেন, “নিউরো বিভাগ খোলার পর থেকেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। সম্প্রতি শিরদাঁড়ার যে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে, তাও আমাদের সাফল্য। ওই রোগী হাঁটতে পারছেন। আমাদের এখানে ব্রেন টিউমারের অপারেশনও হচ্ছে। আমরা পরিষেবা আরও উন্নত করার চেষ্টা চালাচ্ছি।”
অনেক সময় দেখা দেয় ছোট কিংবা বড় শারীরিক রোগের ক্ষেত্রে আর্থিক সামর্থ্য না থাকা সত্ত্বেও ভিন রাজ্যে গিয়ে চিকিৎসা করাতে যান অনেকে। অনেক সময় আবার একাধিক নামিদামি হাসপাতালে গিয়েও সুস্থ হয়ে ফেরেন না রোগীরা। তবে এবারে ভিন রাজ্য নয় জেলাতেই বিনামূল্যে জটিলতম অস্ত্রোপচারের এমন সাফল্য নজর কেড়েছে জেলাবাসীর।