সীমান্ত তীরবর্তী এলাকায় থাকা ভারতীয়রা এরপর নিজেদের উদ্যোগে গ্রামে নতুন করে নাট মন্দির তৈরি করেন। প্রতিবছর সেখানে দুর্গাপুজা হলেও মহাষষ্ঠীর দিন রীতি মেনে কাঁটাতারের ওপারে বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্টে অবস্থিত পুরনো সেই মন্দিরে পুজো দিয়ে ঘট এনে এপার বাংলার খুটাদহ গ্রামের দুর্গাপুজোর সূচনা করা হয়।
advertisement
গ্রামের এক পুজো উদ্যোক্তা গৌতম কুমার হালদার জানান, “সীমান্তরক্ষা বাহিনী সম্পূর্ণ রকমভাবে পুজো কমিটিকে সহায়তা করে। সীমান্তরক্ষা বাহিনীর আধিকারিকরা গ্রামের দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করেন। এই পুজোর বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন অষ্টমীর দিন মহাভোগ। ওইদিন পার্শ্ববর্তী অন্যান্য পুজো কমিটি থেকে এখানে ভোগ পাঠানো হয়”।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আজও মালদহের বামনগোলা ব্লকের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী খুটাদহ গ্রামের বাসিন্দারা সেই একই রীতি মেনে পুজো করে আসছেন। মহাষষ্ঠী থেকে শুরু করে মহাঅষ্টমীর মহাভোগের আয়োজন, সন্ধিপুজোর বিশেষ রীতি- সব মিলিয়ে, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এই গ্রামের পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মানুষের উচ্ছ্বাস, আবেগ, ভালবাসা।