মালদহের ইংরেজবাজার শহর লাগোয়া যদুপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় সাঁকো গ্রামের এমন চিত্র অবাক করবে সকলকে। এক দুই বছর নয়, প্রায় ৭০ বছর ধরে এমনই অবস্থায় বসবাস করছেন গ্রামবাসীরা। প্রায় তিন শতাধিক পরিবারের বসবাস এই গ্রামে। নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায় উত্তরবঙ্গে প্রবেশের অন্যতম এই রেল লাইন পথ। অন্যান্য জায়গায় পারাপারের ক্ষেত্রে রাস্তা থাকলেও এই গ্রামে রেল লাইন পার করার জন্য নেই কোনও সাবওয়ে বা রেল গেট। যার ফলে গ্রামে কোনও রোগী অসুস্থ হলে সমস্যায় পড়েন গ্রামবাসীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: গল্পে মজে নার্সরা, হাসপাতালে পৌঁছেও অক্সিজেন পেল না রোগী! ছটফট করতে করতে সব শেষ
রাস্তা না থাকায় নেই কোনও নিকাশি ব্যবস্থাও নেই। যার ফলে অল্প বৃষ্টির জলেই জলমগ্ন হয়ে থাকে গোটা গ্রাম। মালদহের ওই গ্রামবাসীদের অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে জেলা প্রশাসন সমস্ত জায়গায় জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। সারা বছর প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রেললাইন পারাপার করে যাতায়াত করতে হয় গ্রামবাসীদের। রেললাইন পার করতে গিয়ে অনেকবার দুর্ঘটনা কবলে পড়ে মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে এই গ্রামের বাসিন্দাদের। শুধু তাই নয় অল্প বৃষ্টির জলেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে গোটা গ্রাম। যার ফলে জল যন্ত্রণায় ভুগতে হয় গ্রামবাসীদের। যদিও দ্রুত সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। তিনি জানান, “রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এই রেল লাইনে সাবওয়ে তৈরি করার পরিকল্পনার কথা জানান হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সমস্যা সমাধান হবে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে বর্তমানে দেখার বিষয় যেখানে রাজ্য সরকারের ‘পাড়ায় সমাধান’ এবং ‘দুয়ারে সরকারের’ মত প্রকল্প দিয়ে সমাধান হচ্ছে একাধিক সমস্যা। সেখানে দাঁড়িয়ে মালদহের এই গ্রামের এমন চিত্র ভাবাচ্ছে সকলকে।