দিনকয়েক আগেই দেখা যায়, হাসপাতালের মূল প্রবেশ পথে অ্যাম্বুলেন্সের ওপর উঠে দাঁড়িয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হাসপাতালের গেটের সঙ্গে ঝুলে রয়েছেন এক অ্যাম্বুলেন্স চালক। হঠাৎ করে দেখলে যে কেউ শিউরে উঠবেন। মনে হবে যেন কেউ আত্মহত্যা করে ঝুলে রয়েছেন। ইতিমধ্যেই এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।হাসপাতালে নিশ্চয় যান পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত এক অ্যাম্বুলেন্স চালকের অভিযোগ, হাসপাতালের ছয় জন নিশ্চয় যান চালকের একজনও গত কয়েক মাস ধরে বেতন পাননি। পারিশ্রমিক না পাওয়ায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ধারাল অস্ত্র নিয়ে চড়াও, নদিয়ায় বিএসএফের গুলিতে নিহত পাচারকারী!
অনেকে গাড়ি বন্ধ রেখে অন্য পেশার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আর যে কয়েকজন অন্য পেশায় যুক্ত হতে পারেননি তাঁদের আত্মহত্যা ছাড়া পথ নেই। এই কারণেই প্রতীকী প্রতিবাদ দেখানো হয়েছে। অবিলম্বে বকেয়া না পেলে আত্মহত্যানিশ্চয়ই যান চালকরা সাধারণভাবে দূরদূরান্ত থেকে নিখরচায় প্রসূতি মায়েদের বাড়ি থেকে সরকারি হাসপাতালে পৌঁছে দেন। এই পরিষেবার উদ্দেশ্য প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব বাড়ানো। একইভাবে সন্তান জন্ম নেওয়ার পর সদ্যোজাত সহ প্রস্তুতিকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয় নিশ্চয়ই যান পরিষেবার মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: বাঁকুড়ায় 'আদিম মানুষের' গুহার হদিশ, বিস্ময়কর ঘটনা বাংলায়! অপার রহস্যের সন্ধান
প্রসূতি মায়েরা নিখরচায় এই পরিষেবা পেলেও এজন্য সরকারিভাবে কিলোমিটার পিছু টাকা পান এম্বুলেন্স মালিকরা। আবার তাঁদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন চালকরা। কিন্তু, চালকদের দাবি গত প্রায় ১১ মাস ধরে তাঁরা কোনওরকম পারিশ্রমিক পাননি। এই পরিস্থিতিতে প্রতি মাসে পারিশ্রমিক প্রদান এবং কিলোমিটার পিছু ভাড়া বৃদ্ধির দাবি করেছেন অ্যাম্বুলেন্স চালকরা। ছাড়া অন্য কোনও পথ থাকবে না বলেও দাবি অ্যাম্বুলেন্স চালকদের। যদিও এ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি স্বাস্থ্য দফতরের কোনও কর্তাই।