এরপর থেকে মনে করা হয় সেই এলাকায় কারাগার থাকায় সেই ঘাটকে হাবাসখানা ঘাট বলা হয়। এরপর এই ঘাট সংলগ্ন এলাকায় তৈরি করা হয় মন্দির। সেই মন্দিরের নাম দেওয়া হয় হাবাসখানা ঘাট। বর্তমানে প্রতিবছরই জ্যৈষ্ঠ সংক্রান্তির পুণ্য তিথিতে মালদহের রামকেলি মেলার সময় হাজারও ভক্তরা পুণ্য লাভের আশায় ভাগীরথী নদীর এই হাবাসখানা ঘাটে ডুব দিতে আসেন। শুধু জৈষ্ঠ সংক্রান্তি নয় সারা বছরই ভক্ত এবং পর্যটকদের ভিড় জমে এখানে।
advertisement
আরও পড়ুন: বিরল রোগ…! দেখা যায় না বললেই চলে, দিল্লিতে হয়নি, বিনাপয়সায় সফল চিকিৎসা মালদহে
মালদহ জেলার ইতিহাস গবেষক এম আতাউল্লাহের মতে এই হাবাসখানার মানে সম্পর্কে কারো ধারনা পরিষ্কার নয়। বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে গবেষণার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন এর নামের অর্থ। কেউ বলছেন হাবাস খান কোন ব্যক্তির নাম থেকে এই হাবাসখানা ঘাটের নাম। আবার কেউ বলেন এই নদী ঘাট এলাকায় জেলখানা বা বন্দিশালা ছিল যা বর্তমানে হাবাসখানা নামে পরিচিত। তবে এর কোন রকম লিখিত রূপে তথ্য বর্ণিত নয় তাই অনেকে অস্পষ্ট আজও।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কথিত আছে সুলতান হুসেন শাহের সময়কালে এই গৌড়ে এসেছিলেন শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু। সেই সময় গৌড়ের রামকেলির গা ঘেঁসে বয়ে গিয়েছিল ভাগীরথী তথা গঙ্গা নদী। নদীর জলের সুবিধার জন্যই সেখানে সুলতান হুসেন শাহের কারাগার বা জেলখানা করা হয়েছিল। যাকে বর্তমানে হাবাসখানা নাম হিসেবে জানা হয়। তবে এর কোন ধ্বংসাবশেষ অংশ সেখানে লক্ষ্য করা যায় না। যদিও বর্তমানে নদী তীরবর্তী ঘাট এবং ঘাট সংলগ্ন মন্দির কে হাবাসখানা ঘাট হিসেবে জানা হয়।
জিএম মোমিন