এই অবস্থায় অনেকেই বাড়ি ছাড়তে শুরু করেছেন। শহরের উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছে নদী তীরবর্তী বস্তি এলাকার বাসিন্দারা। বন্যা কবলিত এলাকার বাসিন্দা কৌশিক সরকার বলেন, প্রতিবছর নদীর জল বাড়লেই এমন পরিস্থিতি হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও স্থায়ী পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। চারিদিক জলমগ্ন হয়ে পড়ায় পোকামাকড়, সাপের উপদ্রব বাড়ছে। সব মিলিয়ে আতঙ্কে আছে মানুষ।
advertisement
আরও পড়ুন: টানা বর্ষণে উত্তাল তোর্ষা! চা বাগানে হু হু করে ঢুকছে নদীর জল
এই পরিস্থিতিতে ইংরেজবাজার পুরসভার পক্ষ থেকে বন্যা কবলিতদের জন্য সুব্যবস্থা করা হচ্ছে। শহরে নব নির্মিত ফ্লাড সেন্টার দ্রুত চালু করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য পাহাড়ে টানা বৃষ্টি এবং মালদহেও কয়েকদিনের বৃষ্টি জেরে মহানন্দার জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। নদীর জলে জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা ইংরেজবাজার পুরসভার ৮, ৯, ১২ এবং ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মহানন্দা নদীর চরে বসবাসকারী কয়েকশো বাড়ি। কারোর বাড়ির ভেতর, আবার কারোর বাড়ির উঠোনে এসে পৌঁছেছে জল। অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে এসেছে বাধ্য হচ্ছেন। ইংরেজবাজারের পুরপ্রধান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর বন্যা কবলিতদের জন্য সুব্যবস্থা করা হয়। এই বছর নতুন ফ্ল্যাড সেন্টার তৈরি হচ্ছে। দ্রুত কাজ শেষ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বৃষ্টিতে মালদহে মহানন্দার জল অনেকটাই বেড়েছে। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে মহানন্দা নদীর জলস্তর রয়েছে ২০.১০ মিটার। বিপদসীমার কিছুটা নীচে রয়েছে জলস্তর। জলস্তর নিয়মিত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কোনও মুহূর্তে বিপদসীমা পার হতে পারে জলস্তর। এরফলে মালদহে মহানন্দার জলেও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
হরষিত সিংহ