আরও পড়ুন- ১০ জনের প্রাণ বাঁচিয়ে হিরো মালবাজারের মানিক
স্বাস্থ্য দফতরে কাজ করতেন তপন অধিকারী। সত্তরোর্ধ তপন অধিকারী নিজে পাড়ায় অত্যন্ত পরিচিত ব্যক্তি ছিলেন। এলাকার সকলেই তাকে একডাকে চিনত। মালবাজারের অধিকারী পরিবারের সকল সদস্য একসাথেই দশমীর সন্ধ্যায় গিয়েছিল ঠাকুর ভাসান দেখতে। আর সেখানেই ঘটে যায় এই চরম বিপর্যয়। গোটা পাড়া তা ভুলতে পারছে না। এদিন স্বর্ণদীপের কথা উঠতেই পাড়ার সকল সদস্যরা সমস্বরে জানিয়েছেন, তারা ভেবে উঠতেই পারছেন না পাড়ার মেধাবী ছেলেটা আর নেই। এদিনও সকাল থেকে তাদের বাড়িতে ভিড় করে বসে আছেন গোটা পাড়া। বাড়ির ছেলের সব জিনিস এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে ৷ মেধাবী ছাত্রের নানা বই সাজানো। বারেবারেই বাড়ির লোক মনে করাচ্ছেন, কিছুই হয়নি। স্বর্ণদীপ আবার ফিরে আসবে ৷
advertisement
আরও পড়ুন- বাচ্চারা থাক বাড়িতেই! সম্পর্কের উষ্ণতা ফেরাতে পাড়ি দিন দেশের এই কয়েকটি অ্যাডাল্ট হোটেলে
যদিও রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের সেই ছাত্রের আর ঘরে ফেরা হল না। এদিন তার এক পরিবারের সদস্য বলছিলেন, ভাগ্যের এ এক নির্মম পরিহাস ৷ আমরা প্রতি বছর এই ঘাটে বিসর্জন দেখতে যাই। এই ঘাটে ওই দিন মেলা বসে। আশেপাশের বিভিন্ন চা বাগান থেকে বহু মানুষ আসেন৷ কেউ মনে করে বলতে পারবে না, কখনও এমন ঘটনা ঘটেছে৷ স্থানীয়দের অবশ্য বক্তব্য, অন্যান্য বারের তুলনায় এবার ঘাট একটু অন্য রকম। সেক্ষেত্রে তাদের বক্তব্য অন্যান্য বার যেমন মেলার দিকের অংশেই প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়৷ এবারও তেমনটা করা উচিত ছিল। তবে অধিকারী পরিবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর কোনওদিন তারা প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য যাবেন না।