এই ক্রমবর্ধমান সমস্যার সমাধানেই এগিয়ে এল শিলিগুড়ি পুরনিগম। ডাম্পিং গ্রাউন্ড চত্বরে যে চিকিৎসালয় রয়েছে সেখানে একজন প্রাইভেট পশু চিকিৎসক নিযুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি থাকবেন দু’জন কুকুর ধরার লোক, দু’জন সহায়ককর্মী এবং একজন অফিসকর্মী।
আরও পড়ুনঃ ‘রোমিও বাইকার’ থেকে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ! জেলা পুলিশ এবার পেল…! পুলিশ দিবসে বিরাট আয়োজন
advertisement
পুরনিগমের পরিবেশ বিভাগের মেয়র পারিষদ সিক্তা দে বসু রায় জানিয়েছেন, ‘খুব দ্রুতই সমস্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। একইসঙ্গে পথকুকুরদের নির্বীজকরণ প্রক্রিয়াও চালু করা হচ্ছে’। পশুপ্রেমী প্রিয়া রুদ্র এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘সুস্থভাবে যদি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়, তাহলে পথকুকুর ও মানুষের মধ্যে একটা সুষ্ঠু সম্পর্ক তৈরি হবে। এই ধরনের উদ্যোগ পুরনিগমকে আরও বেশি নিতে হবে’।
নাগরিক নিরাপত্তা ও চিকিৎসার কথা মাথায় রেখে পুরনিগমের এই পদক্ষেপ সময়োপযোগী, একথা মেনে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরাও। তাঁদের মতে, সমস্যার জটিলতা যতই বাড়ুক না কেন, সুসংগঠিত পরিকল্পনা ও কার্যকর ব্যবস্থা শহরে নতুন করে স্বস্তি ফেরাতে পারবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শিলিগুড়ি পুরনিগমের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে পথকুকুর সমস্যার সমাধানের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। একদিকে যেমন নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার, তেমনই পশুদের প্রতি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিও প্রয়োজন। চিকিৎসা, নির্বীজকরণ ও সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন দেখার বিষয়, পুরনিগমের ঘোষিত পরিকল্পনা কত দ্রুত বাস্তব রূপ নেয় এবং শহরের রাস্তায় স্বস্তি ফিরিয়ে আনে।