আলিপুরদুয়ার জেলার ভুটান সীমান্ত দলসিংপাড়া এলাকায় স্থিত মহুয়া চা বাগান।অপরূপ সুন্দর তোর্ষা নদীর ধারে স্থিত ছোটো চা বাগান মহুয়া চা বাগান। এই বাগানের মোট শ্রমিক সংখ্যা মাত্র ১৫১ জন। এর মধ্যে স্থায়ী শ্রমিক মাত্র ৭৮ জন। বাকি সব অস্থায়ী বিঘা শ্রমিক।বর্তমানে বন্ধ তোর্ষা চা বাগানের একটি অংশ এই মহুয়া চা বাগান।
advertisement
আরও পড়ুনঃ আরজি কর-কাণ্ডে চলছে প্রতিবাদ-লড়াই, লালবাজার অভিযানে সিপিআইএমের ছাত্র-যুব-মহিলা সংগঠন
পূর্বে রাজ্য সরকারের অধীনস্ত চা বাগান ছিল এটি।রাজ্য সরকারের ওয়েস্ট বেঙ্গল টি ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের অধীনে পাঁচটি সরকারি চা বাগান ছিল। তার মধ্যে পাহাড়ের রঙ্গারুন, পেণ্ডাম, রঙমুখ সিডার্স ও ডুয়ার্সের জলপাইগুড়ি জেলার হিলা ও আলিপুরদুয়ার জেলার মহুয়া চা বাগান। কিন্তু ২০১৪ সালে এই পাঁচটি চা বাগান বেসরকারি হয়ে যায়। ওই সময় এই বেসরকারি করণের বিরোধিতা করেছিল মহুয়া চা বাগানের শ্রমিকরা।
মহুয়া চা বাগানটি তোর্ষা চা বাগান কোম্পানির হাতে চলে যায় এবং তার পড়েই মহুয়া চা বাগান হয়ে যায় তোর্ষা চা বাগানের একটি অংশ। তোর্ষা চা বাগানের মে মাস থেকে অচলাবস্থা শুরু হয় তখন থেকে মহুয়া চা বাগানের ও অচলাবস্থা শুরু হয়। মহুয়া চা বাগানের শ্রমিকদের ও চারটি ফোর্টনাইট পেমেণ্ট দুমাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। মহুয়া চা বাগানের শ্রমিক অগষ্টলাল মারাণ্ডি,সেলাই মুণ্ডারা জানান, “২০১৪ সালে মহুয়া চা বাগান বেসরকারি হয় এবং তখন থেকেই বাগানের অবস্থা শোচনীয় তখন থেকেই বাগানের শ্রমিকরা নিজেদের প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। শ্রমিকদের আবাসন এমনকি বাগানের অফিস মেরামত হয় না।”
শ্রমিকদের আরও অভিযোগ বাগানের বহু শেড ট্রি কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।কমপক্ষে তিনশোর উপরে গাছ চলে গিয়েছে। শ্রমিকদের প্রোফিডেণ্ট ফাণ্ডে টাকা জমা হয়না। শ্রমিকরা জানান পূর্বে যখন রাজ্য সরকারের অধীনস্ত ছিল চা বাগানটি তখন শ্রমিকরা সুখে সাচ্ছন্দে ছিল।
Annanya Dey