কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সেক্রেটারি কৃষ্ণগোপাল ধারা জানান, “রাজ আমলের একদিক নিয়ম নীতি আজও একই রকম ভাবে মেনে আসা হচ্ছে মন্দিরে। এই নিয়মটিও সেই নিয়ম গুলির মধ্যেই রয়েছে। এখনোও সময় ধরে এই কাজটি করা হচ্ছে। এরজন্য আলাদা একজন কর্মীকে দায়িত্ব দেওয়া রয়েছে। আগামীতেও এই কাজ চলবে।”
জেলার এক ইতিহাস অনুসন্ধানী সুবীর সরকার জানান, “জেলার রাজ আমলের প্রতিষ্ঠিত এই মন্দির বর্তমানে দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের অধীনে রয়েছে। তবে সব নিয়ম রাজ আমল থেকে এখনোও মেনে আসা হচ্ছে একই রকম ভাবে।”
advertisement
তিনি আরও জানান, “মন্দিরে প্রবেশের পরে হাতের বাঁদিকে, নহবত খানায় ওঠার সিঁড়ির পাশেই রয়েছে এই ঘণ্টা। যা আজও সময়ের জানান দিয়ে চলেছে সেই রাজ আমল থেকে। রাজ আমলের এত ঘনবসতি ছিল না। এছাড়া সেই সময়ে ঘড়ির ব্যবহার এত ছিল না। তাই সঠিক সময়ের জানান দিতেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল মদনমোহন মন্দিরে। এখন যদিও ঘড়ি প্রায় সকলের হাতে হাতেই থাকে। তবুও এই ঘণ্টা বাজলে বহু মানুষের সঠিক সময়ের জ্ঞান হয়। তাই এই ঘণ্টার একটা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে মদনমোহন বাড়ি মন্দিরে।”
বর্তমান সময়েও বহু মানুষের সময়ের হুঁশ হয় এই ঘণ্টার আওয়াজে। মন্দিরে আসা ভক্তদের আজও সঠিক সময়ের জানান দিয়ে আসছে এই রাজ আমলের ঘণ্টা। তাই দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই নিয়ম আজও পালন করা হচ্ছে দেবোত্তর ট্রাস্টের পক্ষ থেকে। আগামীদিনেও প্রাচীন এই ঐতিহ্য বজায় রাখা হবে। এমনটাই জানানো হয়েছে কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্টের পক্ষ থেকে।