রথ নির্মাণের কাঠের কারিগর হরেকৃষ্ণ সূত্রধর জানান, ” মোট তিনজন মিলে রথ নির্মাণের কাজ করছি। আমার সঙ্গে রয়েছেন নারায়ণ সূত্রধর ও মনীন্দ্র সূত্রধর। সকলেই বংশপরম্পরায় কাঠ মিস্ত্রি। রথ সারানোর কাজ শুরু হয়েছে ৭- ৮ দিন আগে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছুটা কাজ এগিয়েছে। ২ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন হবে।” দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সেক্রেটারি পবিত্রা লামা জানান, “চলতি বছরে নতুন রথে চড়বেন মদনমোহন দেব। রথের উচ্চতা হবে প্রায় ২১ ফুট। শাল ও সেগুন কাঠ দিয়ে নির্মাণ হচ্ছে এই রথ।”
advertisement
জেলার এক ইতিহাস অনুসন্ধানী ঋষিকল্প পাল জানান, ” আনুমানিক ১৯৩০ দশকে এই রথটি নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে রথটির বেহাল অবস্থা। তাই নতুন রথ নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে নতুন রথটি যেন আগের রথের অনুকরণে তৈরি হয়, সেটা সুনিশ্চিত করতে হবে দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডকে। অবশ্যই শাল ও সেগুন কাঠ দিয়ে যেন রথ তৈরি হয়। পুরনো রথটিকে ঐতিহ্য হিসেবে সংরক্ষণ করতে হবে।\”
চলতি বছর রথের মেলায় আর পুরনো রথ চোখে পড়বে না। এবারে নবনির্মিত রথে চড়বেন মদনমোহন দেব।
Sarthak Pandit





