গ্রাহকদের অনেকেরই আশঙ্কা বা আতঙ্ক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিজেদের বায়োমেট্রিক নথিভুক্ত না করলে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে না তো? এই আতঙ্কেই যতদিন গড়াচ্ছে, ততই বাড়ছে লম্বা লাইন। ঠিক যেভাবে নোটবন্দির সময় অথবা করোনা টিকার ডোজ নেওয়ার সময় লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন উদ্বিগ্ন মানুষ, এখন সেভাবেই গন্তব্য গ্যাস ডিলারদের দোকান। দোকান খোলার আগে সাত সকাল থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ছেন বহু মানুষ। এরপর দিনভর আর লাইনে লোক কমছে না। একদল যাচ্ছেন তো আরেক দল এসে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ছেন।
advertisement
আরও পড়ুন : রাতে ঘুম ভেঙে যাচ্ছে শুকনো কাশির দমকে? মধুর সঙ্গে এটা মিশিয়ে বানান ঘরোয়া সিরাপ! সেরে যাবে
এরই মধ্যে গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ “লিঙ্ক ফেলিওর’ সমস্যায়। কারণ, বেশির ভাগ সময়েই লিঙ্কের সমস্যায় কাজ এগোচ্ছে না। গ্রাহকরা জানিয়েছেন, কেউ পাঁচ ঘণ্টা, কেউ ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন বায়োমেট্রিক তথ্য নথিভুক্ত করানোর জন্য। জানা গিয়েছে, এক একটি গ্যাস ডিলারদের দোকানে দৈনিক গড়ে প্রায় পাঁচশো গ্রাহকের বায়োমেট্রিক তথ্য নথিভুক্ত করা হচ্ছে।
গত নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে বায়োমেট্রিক আপডেট এর কাজ। যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে গ্রাহকদের ভিড়। আপাতত ৩১ মার্চের মধ্যে তথ্য আপডেট এর নির্দেশিকা রয়েছে। তবে বায়োমেট্রিক নথিভুক্ত না করালে এখনই গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে, এমন আশঙ্কা বা আতঙ্ক সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন ডিলার কর্তৃপক্ষ।
