নিজের ভাঙা বাড়ি দেখে এখনও চোখের জল ফেলেন ললিতা বিশ্বকর্মা। তাঁর স্বামী অনেক কষ্ট করে পাকা বাড়ি তৈরি করেছিলেন। কিন্তু নদীর গ্রাসে বাড়ির অধিকাংশই তলিয়ে গিয়েছে। যা রয়ে গিয়েছে তা বসবাসের যোগ্য নয়। বাধ্য হয়ে অন্যত্র মাসে হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে থাকতে হচ্ছে। একই পরিস্থিতি কণিকা বর্মন, মুন্না বর্মনদের। নদীতে পাকা বাঁধ নির্মাণ হবে কিনা জানেন না তাঁরা। বিকল্প উপায় হিসেবে পুনর্বাসনের দাবি তুলছেন। এই মানুষগুলো জানিয়েছেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে অন্যত্র জায়গা দিলে তাঁরা আবার নতুন করে বসতি গড়ে তুলতে পারবেন। এতে ভাড়া বাড়িতে অন্ততপক্ষে থাকতে হবে না।
advertisement
আরও পড়ুন: খামখেয়ালি আবহাওয়ায় পটল চাষে ক্ষতি
শহর থেকে দূরে হাওয়ায় রাজনৈতিক দলগুলির প্রার্থীরা এখানে আসেন না, এমনই মন্তব্যের মাধ্যমে নিজেদের অভিমানের কথা ব্যক্ত করেন অসহায় মানুষগুলো। এক কথায় তাঁদের দুঃখ-দুর্দশা দেখার ও শোনার মত কেউ নেই। বর্ষাকালে ফুলেফেঁপে ওঠে নদীর জল। নদীর এই রূপ দেখলে ভয় পেয়ে যেতে হয়। দুবছরে নদীর পারে ছোট মেচিয়া বস্তিতে অতলে চলে গিয়েছে ৩৫ টি বাড়ি। সকলেই বর্তমানে অন্যত্র ভাড়া থাকছেন। সকলেরই এখন একটাই প্রশ্ন, আর কখনও কি স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাওয়া যাবে?
অনন্যা দে