মানিকচক লোকসভা কেন্দ্রের ভুতনি গোবর্ধনটোলা এলাকায় গঙ্গার তীরে দিনভর সত্যাগ্রহ আন্দোলন করেন বিজেপি প্রার্থী। পাশাপাশি ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষের মঙ্গল কামনায় গঙ্গাতীরে মহা মঙ্গল যজ্ঞের আয়োজন করা হয়। বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, স্বাধীনতার ৭৫ বছর হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষের সমস্যার সমাধানে এখনও কোনও স্থায়ী কাজ হয়নি। একটি পরিবার থেকেই মালদহে বছরের পর বছর সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। কেন্দ্রে বেশিরভাগ সময়ই কংগ্রেসের সরকার ছিল। কিন্তু ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষের জন্য কোনও স্থায়ী কাজ হয়নি। বর্তমানে কেন্দ্রে বিজেপি সরকার আছে। কিন্তু মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রটি কংগ্রেসের দখলেই আছে। তারা এই অঞ্চলের মানুষের জন্য কোনও স্থায়ী কাজের চিন্তাভাবনা করেনি। আমরা দেখেছি শুধুমাত্র বর্ষার মরশুমে বালির বস্তা ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা হয়েছে। তবে বিস্তীর্ণ এই ভাঙন কবলিত অঞ্চলে প্রয়োজন স্থায়ী ভাঙন প্রতিরোধ কাজের।
advertisement
আরও পড়ুন: পাথর শিল্পীর অনন্য সৃষ্টি ‘নিরক্ষরতা দূরীকরণ’
বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ প্রসঙ্গে মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী ঈশা খান চৌধুরী বলেন, ডালুবাবু সাংসদ থাকাকালীন অনেক ফান্ড নিয়ে এসেছেন। কাজও হয়েছে অনেক। আমি যখন বৈষ্ণবনগরের বিধায়ক ছিলাম সে সময় অনেক ফান্ড এসেছে। ভাঙন কবলিত এলাকায় কাজ হয়েছে। মালদহ জেলার রতুয়ার দিয়ারা, মানিকচক ব্লকের ভুতনি সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল ও কালিয়াচক-৩ ব্লকের বেশ কিছু অঞ্চলজুড়ে প্রতিবছর ব্যাপক হারে গঙ্গা ভাঙন হচ্ছে। একের পর এক গ্রাম বিলীন হয়েছে এই গঙ্গা ভাঙনের কবলে। বহু পরিবার গৃহহীন অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু তাঁদের সমস্যার সমাধান আজও হয়নি।
হরষিত সিংহ