বাসিন্দাদের কথায়, জঙ্গল পথে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে যেতে হয়। আগে জংলী প্রাণী বিশেষত হাতি সামনে থাকলেও কিছুই করত না। ছুটে আসত না বুনো মোষ বা বাইসন৷ এখন সময় বদলেছে। গাছগাছালি ক্রমেই কমে যাওয়ায় বেড়েছে বন্যপ্রাণীদের খাদ্যের অভাব। মেজাজও বদলেছে তাদের। এখন মানুষ দেখলেই আক্রমণ করার প্রবণতা দেখা যায় জঙ্গলের হাতি, বাইসন, মোষদের মধ্যে। ফলে ভোট দিতে যাওয়ার সময় বিপদ না ঘটে, সেই আশঙ্কা কিছুটা হলেও দেখা যাচ্ছে এখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে।
advertisement
আরও পড়ুন: রামপুরহাট স্টেশনের যাত্রী প্রতীক্ষালয় থেকে উদ্ধার অজ্ঞাত পরিচয়ের দেহ, পরনে শুধু প্যান্ট
এই প্রসঙ্গে লাটাগুড়ি বনাঞ্চলের ভূমিপুত্র তথা পরিবেশ কর্মী অনির্বাণ মজুমদার বনবস্তির বাসিন্দাদের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন। মানব সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গিয়ে বন্যপ্রাণীদের খাবার, পানীয় জল, বাসস্থানের উপর দখলদারি শুরু করায় এই বিপদ দেখা দিয়েছে বলে তাঁর অভিমত। তবে বর্তমানে বনবস্তির ভোটদাতাদের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গাড়ি, টোটোর ব্যবস্থা করে। বিছাডাঙা প্রাথমিক স্কুলের বুথে মূলত ভোট দেন এই বন বস্তিবাসীরা। সরকারিভাবে ব্যবস্থা করা হয়েছে বুথ সুরক্ষিত রাখার। ভোটকর্মীদের দেওয়া হবে চকলেট বোম ও টর্চ। সঙ্গে থাকছেন বনকর্মীরাও। এই এলাকায় ভোট সন্ত্রাস নয়, বন্যপ্রাণের ভয়ে ভোট দিতে যান ভোটাররা।
সুরজিৎ দে