ঘটনার খবর পৌঁছয় মানিকচক থানার পুলিশ এবং বন দফতরের কাছে। খবর পেয়ে রাত থেকেই মানিকচক থানার পুলিশ ও প্রশাসন এবং বন দফতরের পক্ষ থেকে মাইকিং করে মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে। নদীতে নেমে স্নান করা এবং গরু, ছাগল নদীতে যাতে না নামে সে বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।
মঙ্গলবার মানিকচক থানার পুলিশ এবং বন দফতরের আধিকারিক ও কর্মীরা মানিকচক ঘাটে মাঝি এবং নদীতে স্নান করতে আসা মানুষকে কুমিরের বিষয়ে সতর্ক করেন। পাশাপাশি নৌকাতে করে গঙ্গা নদীতে টহলদারি চালান সতর্ক করেন কর্মীরা। নদীতে ফের কুমির দেখা গেলে প্রয়োজনীয় সতর্কতা যাতে মেনে চলেন এবং তৎক্ষণাৎ প্রশাসনের সহায়তা নেন সেই বিষয়ে এ দিন সচেতন করা হয় সাধারণ মানুষজনকে।
advertisement
আরও পড়ুন: ১৯৯৪ সালে ৫ হাজারে কেনা SBI শেয়ার, হঠাৎ খুঁজে পেলেন চিকিৎসক! ঘরে এল কত লক্ষ?
তবে দিনভর নদীতে টহলদারি চালালেও আর সেই কুমিরকে দেখা যায়নি। বন দফতর সূত্রে খবর, কুমিরটি বিহারের দিক থেকে মানিকচকের দিকে এসে থাকতে পারে। উজানের দিকে কুমিরটিকে যেতে দেখেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তবে, কমিরটি বর্তমানে ঠিক কোন এলাকায় রয়েছে বা ঘোরাফেরা করছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।এ দিকে কুমির আতঙ্কে নদীর পাড়ে লোকজনের আনাগোনা কমেছে। গঙ্গা নদীতে অন্যান্য দিনের মতো স্নান বা দৈনন্দিন প্রয়োজনে নদীতে মানুষজনকে নামতে দেখা যায়নি।
অনেকেই এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বন দফতর সূত্রে খবর, আরও কয়েকদিন ওই কুমিরের গতিবিধি নজর করতে গঙ্গা নদীতে টহলদারি চালানো হবে।বন দফতরের মালদহের ডিএফও জিজু জেসফার বলেন, ‘লোক মুখে কুমিরের উপস্থিতির কথা শোনা গিয়েছে। সেই মতো নজরদারি চালানো হচ্ছে। কুমির নদীতে থাকলে তা যাতে মানুষের দ্বারা কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় অথবা কুমিরও সাধারণ মানুষের কোনও ক্ষতি করতে না পারে, এজন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’